ঢাকা, রবিবার, ২৭ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কমছে না রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির ভোগান্তি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
কমছে না রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির ভোগান্তি কাজ শেষে ইট-বালু স্তূপ করে রাখা হয়েছে রাস্তার পাশে/ছবি: কাশেম হারুন

ঢাকা: রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চলছে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি। কোথাও বিদ্যুতের লাইন টানতে কোথাও ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্করণে হচ্ছে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। কোথাও খোঁড়াখুঁড়ি শেষ হলেও রাস্তায় পড়ে আছে ইট-বালিসহ নানা সরঞ্জাম। এতে নগরবাসী পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বাড্ডা লিংকরোড থেকে বসুন্ধরা পর্যন্ত সরেজমিনে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কারণে নগরবাসীর নানা ভোগান্তির দৃশ্য চোখে পড়ে।

লিংকরোড থেকে ভাটারার বাঁশতলা পর্যন্ত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি শেষ হলেও রাস্তার পাশে ড্রেনেজের জন্য কংক্রিটের স্ল্যাপগুলো এমনভাবে বসানো হয়েছে, দুই স্ল্যাপের ফাঁকা স্থানে যে কারো পা অনায়াসে চলে যেতে পারে।

এতে ইতোমধ্যে অনেক দুর্ঘটনাও ঘটেছে।

ইকরাম নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, কয়েকদিন আগে চলন্ত অবস্থায় আমার বাইকের চাকা ওই ফাঁদে ঢুকে যায়। পরে পেছন থেকে অন্য গাড়ি এসে ধাক্কা দিলে পড়ে আহত হই। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছি!

নতুন বাজার এলাকা থেকে ভাটারার কোকাকোলা পর্যন্ত রাস্তা খোঁড়ার পর সেখান থেকে ওঠানো বালি ও কংক্রিট স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এতে সেখানে ধুলাবালিতে ‍দাঁড়াতে পারছেন না কেউ।
কাজ শেষে ইট-বালু স্তূপ করে রাখা হয়েছে রাস্তার পাশে/ছবি: কাশেম হারুন
এছাড়াও রাস্তার মধ্যে কোথাও কোথাও বিদ্যুতের খুঁটিও ফেলে রাখা হয়েছে। এতে মানুষের চলাচলে ব্যাঘাত হচ্ছে।

বাঁশতলা এলাকায় কথা হয় চা বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এই রাস্তা ঠিক করে গেছে একমাসের মতো। ঠিক করার পর অতিরিক্ত মাটি-বালি আর নেয় নাই। আমার কথা হইলো, এগুল‍া হয় নিয়া যাক আর না হয় অন্য কোনো জায়গায় ফ্যালায়া দিক। এখানে যাত্রীরা দাঁড়াইতে পারে না। একটা গাড়ি আইলেই ধুলা দিয়া মাখাইয়া যায়।
 
আসবাবপত্র বিক্রেতা খোকন হোসেন বলেন, আমরা প্রতিদিন সকাল-বিকেল দুইবার রাস্তায় পানি দেই। তারপরও ধুলা যায় না। কি করুম কন? সরকারি কাজ, আমাদের তো কিছু বলার নাই।
কাজ শেষে ইট-বালু স্তূপ করে রাখা হয়েছে রাস্তার পাশে/ছবি: কাশেম হারুন
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আবিদা সুলতানা। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের প্রতিদিন এই ধ‍ুলাবালির কষ্টটা সহ্য করতে হচ্ছে। কিছুই বলার নেই। যারা এ রকম আধা কাজ করে রাখে তারা এসব কাজের বিল কীভাবে পায়? আমরা ধরেই নেব তারা বিল আগেই পেয়ে গেছেন। কর্তৃপক্ষ যদি এগুলোর প্রতি নজর দিতেন তাহলে এগুলোর বিল তারা তুলতে পারতেন না। আর বিল না পেলে তারা কাজটা ভালোভাবে করতে বাধ্য থাকতেন।

নাগরিকদের এমন ভোগান্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধ‍ান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে আমাদের প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলুন।

প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেলারেল মো. সাঈদ আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একটা মিটিংয়ে আছি, দশ মিনিট পরে ফোন করুন। এরপর ফোন করা হলে রিং হলেও তিনি আর ফোন ধরেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
এমএইচকে/আরআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।