শিক্ষামন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে তার পক্ষে তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের উত্তর দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দেশের ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার জন্য উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করার পথে এটি অন্যতম অন্তরায়।
প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অর্থ আদায় সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রমের একটি সামগ্রিক সমীক্ষা হওয়া দরকার। গুরুত্ব বিবেচনা করে এ বিষয়টি নিয়ে আমরা মত বিনিময়ও করেছি। ইতোমধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এর কিছু ধারা সংশোধনের জন্য জাতীয় সংসদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির একটি সাব-কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। এ পর্যায়ে আলোচ্য বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।
সরকারি দলের অপর সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার কারিকুলাম পরিমার্জনসহ শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বহুমুখী কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। এ কাজে সমাজের বিশিষ্ট উদ্যোগী ব্যক্তি, কমিউনিটি নেতা, ইমাম এবং গণমাধ্যমে প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এনসিটিবি প্রকাশিত ও অনুমোদিত পাঠ্যপুস্তক, শিখন-সামগ্রীতে সাম্প্রদায়িকতা এবং জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করে এমন কোনো তথ্য বা বিষয় অন্তর্ভুক্ত আছে কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এজন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার সব পর্যায়ের পাঠ্যক্রম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, জঙ্গি-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্পৃক্ততা মনিটরিংয়ের জন্য গত বছরের ২৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করেছে। কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরদ্ধে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতার প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ বাতিলসহ কারাদণ্ড অথবা উভয়দণ্ড প্রদানের বিধান উল্লেখ করে নোটিশ পাঠানো হবে।
**পাঠ্যবইয়ে ভুলের জন্য দায়ীদের কেউ রেহাই পাবে না
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
এসকে/আরআর/টিআই