প্রমাণ দিতে না পারলে তার ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। এ নোটিশটি বিশেষ অধিকার সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজশাহী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এনামুল হক বিশেষ অধিকার ক্ষুন্নের এ নোটিশটি উপস্থাপন করেন। এরপর তিনি নোটিশটি বিশেষ অধিকার সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানোর দাবি জানান। এ সময় স্পিকার এই নোটিশটি ভোটে দিলে কণ্ঠ ভোটে পাস হয় এবং কমিটিতে পাঠানো হয়।
সংসদে দেওয়া এ নোটিশটি তুলে ধরে এনামুল হক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সময় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক সেই সময় যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। বিশ্বে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের দেশ হিসেবে পরিচিত করেছিলো, যারা জাতির জনককে হত্যা করে আবার পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। সেই সঙ্গে বিশেষ কিছু পত্রিকা জনপ্রতিনিধিদের চরিত্র হননের জন্য ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিউজ করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।
গাইবান্ধার সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যার আগে ষড়যন্ত্র করে হত্যার প্লট তৈরি করা হয়েছিলো। তার বিরুদ্ধে যখন আলোচনা হতো তখন মিডিয়াতে কিভাবে আলোচনা হয়েছে। আজকে পার্লামেন্টের সংসদ সদস্যদের নিয়ে পত্রিকায় ছবি দিয়ে যে নিউজ করা হয় তথ্যবিহীন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই আমি আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি, লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছি। কিন্তু এ হাউসের আপনি গার্জিয়ান হিসেবে, আপনার কাছে আমি প্রতিকার চাই। আপনাকে বলব, এ রকমভাবে ভিত্তিহীন নিউজ যারা প্রকাশ করবে তাদের পার্লামেন্টে ডেকে কৈফিয়ত তলব করা এবং তারা যদি প্রমাণ দিতে পারে তাহলে আমি বলতে চাই প্রধানমন্ত্রীর সৈনিক হিসেবে তাকে বিতর্কিত করবো না। আমরা পদত্যাগ করে চলে যাব, তারা যদি কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেন। বিশেষ অধিকার কমিটি করে তাকে তলব করা হোক। সামনা-সামনি করা হোক এবং প্রমাণ দিতে না পারলে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
এনামুল বলেন, আমার প্রস্তাব হল এ ধরনের মিথ্যা খবর দিয়ে বিতর্কিত করতে না পারে তার ব্যবস্থা করার জন্য আপনার বিশেষ অধিকার কমিটিতে আমার নোটিশটি প্রেরণ করা হোক এবং সেখানে আমাদের আলোচনার ব্যবস্থা করা হোক।
এনামুল হকের বক্তব্য শেষে স্পিকার প্রস্তাবটি কার্যপ্রণালী ১৬৮ বিধি অনুযায়ী সংসদের সামনে ভোটের জন্য তুলে ধরেন। প্রস্তাবটি বিশেষ অধিকার সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানোর জন্য কণ্ঠ ভোটে পাস হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
এসকে/এসএইচ