বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাত ১২টার পর থেকে অবৈধ অংশ ভাঙা শুরু হয়। রাত একটার দিকে এ উচ্ছেদ অভিযান আপাতত শেষ হয়।
এ কাজের তদারকি করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার ও প্রধান সম্পদ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ডিএনসিসি’র কর্মকর্তারা জানান, ওই ভবনের সামনের টিনশেডের বর্ধিতাংশ ভাঙা হয়েছে। তবে মার্কেটের ওপরের তলাগুলোর বর্ধিতাংশ অপসারণ সম্ভব হয়নি।
অভিযান শেষে প্রধান সম্পদ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, গুলশান ১ থেকে গুলশান ২ পর্যন্ত যেখানে সড়কের ওপর অবৈধ অংশ আছে, তা ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
তিনি হাত উঁচু করে দেখিয়ে বলেন, ‘গুলশান ২ এর ডোরেইন টাওয়ার থেকে শুরু করে যেখানে অবৈধ অংশ পাচ্ছি তার উচ্ছেদ চলছে। নিয়মিত এ উচ্ছেদ অভিযান চলবে’।
গত দুই-তিনমাস আগে শেজাদ প্যালেস ভবন কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছিলো। কিন্তু তারা অবৈধ অংশ অপসারণ করেনি বলেও জানান আমিনুল ইসলাম।
৮তলা ভবনটির নিচতলায় বাটার শো’রুম এবং দ্বিতীয় তলায় স্ট্যান্ডার্ড চ্যাটার্ড ব্যাংকের শাখা রয়েছে। ভবনটির মালিক জাবেদ শেজাদ নামে এক ব্যক্তি। তবে উচ্ছেদ অভিযানের সময় ভবন কর্তৃপক্ষের কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
এদিকে, রাত দুইটা পর্যন্ত চলা উচ্ছেদ অভিযানে গুলশানের পর বনানী-কাকলী অংশে রাস্তার ওপর অবৈধভাবে নির্মাণ করা কয়েকটি ভবনের সিঁড়ি ভেঙে দেয় সিটি করপোরেশন।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৭
এসএ/এএসআর
* গুলশানে শেজাদ প্যালেস মার্কেটের অবৈধ অংশ ভাঙছে ডিএনসিসি
* গুলশানে শেজাদ প্যালেস মার্কেটের অবৈধ অংশ ভাঙার প্রস্তুতি