শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে আয়োজিত ‘মিডিয়া ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক একক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, সবচেয়ে বড় দায়িত্বশীলতা হচ্ছে সত্যবাদিতা।
গণমাধ্যমকে সিভিল সোসাইটির অংশ উল্লখ করে তিনি বলেন, সরকার বা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করার বাইরে গিয়ে মাঝামাঝি জায়গাটায় অবস্থান করা হলো সিভিল সোইসাইটির কাজ। গণমাধ্যম নিজেও সিভিল সোসাইটির অংশ। এ জায়গায় দায়িত্বশীল হয়ে গণমাধ্যমকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সংহত করতে ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিবিসি’র সাবেক সাংবাদিক আলী রীয়াজ বলেন, গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু গণমাধ্যমের মাধ্যমে গণতন্ত্র কায়েম করা সম্ভব নয়। এটা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সহায়ক হতে পারে। প্রত্যেক গণমাধ্যমের আলাদা-আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে, কিন্তু তাদের মধ্যে একটা মৌলিক বৈশিষ্ট হলো তারা সবাই সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ের কাজ করছে। এখানে এই সংখ্যালঘুদের ধারণা শুধু ধর্ম বা জাতিভিত্তিক নয় বরং আরও বৃহৎ কিছু।
তিনি বলেন, সংখ্যালঘুর অধিকার নিশ্চিত হলেই বোঝা যাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত। অন্যথায় বুঝতে হবে কোথাও সমস্যা আছে। আনুষ্ঠানিক গণতন্ত্র থাকছে, কিন্তু গণতন্ত্রের মর্ম থাকছে না। এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে গণতেন্ত্রর যেসব বিষয় কার্যকর আছে, তা কাজে লাগিয়ে সত্যিকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে আয়োজিত এ আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিভাগের সভাপতি ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।
প্রফেসর ড. আলী রীয়াজের আলোচনার পর উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ পর্বে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র হেড অব নিউজ মাহমুদ মেনন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক মামুন আব্দুল কাইউম প্রমুখ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিহুর রহমান, শাতিল সিরাজ, সহকারী অধ্যাপক আমেনা খাতুন, মাহাবুর রহমান, প্রভাষক সোমা দেব প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৭
এনটি/টিআই