আয়োজকদের দাবি, নির্বিচারে কুকুর নিধন না করে জন্ম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এর নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
এদিকে একই দাবিতে শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকাতে মানববন্ধন করেছে প্রাণিপ্রেমী জনতা।
তাদের মতে, মানুষের সেবক হিসেবে পরিচিত এ উপকারী প্রাণীর দলকে বিষ খাই মারছে মানুষই। বিষের টোপে এরই মধ্যে প্রাণ গেছে ৫ শতাধিক নিরীহ কুকুরের। ১ মাস বয়সী ১ ডজন কুকুরছানার নামও লেখা হয়ে গেছে সেই মৃত্যুর মিছিলে।
কুকুর নিধনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কমিশনার ও কর্মচারীরা যেনো প্রাণ নিধনের মচ্ছবে মেতেছেন। কিন্তু অনাকাঙ্খিত এই মৃত্যুর দায় নিতে রাজি নয় কেউই।
প্রাণী কল্যাণে সব সংগঠন এ মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। তারা বলেছে, এমন নৃসংশ গণহত্যা কেউ চায় না। আর কোনো প্রাণের স্পন্দন যেনো স্তব্ধ না হয় সেজন্যই এ প্রতিবাদ।
আপনি প্রাণিপ্রেমী হোন বা না হোন, একজন মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ হলেও এই আন্দোলন আপনার নিজের। যে কোনো মূল্যে এই আন্দোলন সফল করতে হবে।
২১ জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বেআইনিভাবে কুকুর হত্যা করা হচ্ছে। কুকুর নিধনে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। তাই প্রাণী হত্যার প্রতিবাদে এ মানববন্ধন হবে।
২০১৪ সালে একটি বেসরকারি সংস্থা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কুকুর নিধন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলো আদালত।
২০১৪ সালেই ঢাকার সিটি করপোরেশন কুকর নিধন কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় আনার কাজ শুরু করে। পরে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন আলাদা করে ভ্যাক্সিন দেয়ার উদ্যোগ নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৬
এসএইচ