প্রাচীন নগরী বগুড়ার মহাস্থানগড়ের বৈরাগীর ভিটায় খনন কাজ শুরু করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর। মহাস্থান জাদুঘর থেকে দক্ষিণে এ ভিটার অবস্থান।
শ্রমিকেরা কেউ খোঁড়াখুঁড়িতে ব্যস্ত। কেউবা পাত্রে মাটি ভরে ফেলছেন অন্যত্র। ছোট-ছোট যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ইটের ভাঁজে ভাঁজে থাকা মাটি ও ময়লা পরিষ্কার করছেন অনেকেই। প্রতিদিন প্রায় ২৫-২৬ জন শ্রমিক এ খনন কাজে অংশ নিচ্ছেন। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলছে এ খনন কাজ।
২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে খনন কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ দিন খনন কাজ চলবে।
খনন কাজের ফিল্ড ডিরেক্টর প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা বাংলানিউজকে জানান, খনন কাজ পরিচালনায় ছয় সদস্যবিশিষ্ট দল গঠন করা হয়েছে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের অর্থায়নে এ খনন কাজ চলছে।
এ দলের প্রধান মহাস্থান জাদুঘরের কাস্টেডিয়ান মজিবর রহমান বাংলানিউজকে জানান, নিয়মিত খনন কাজের অংশ হিসেবে এ খনন কাজ চলছে। বৈরাগীর ভিটায় প্রথম খনন কাজ করা হয়েছিলো পাকিস্তান আমলে। এরপর এখানে আর খনন কাজ করা হয়নি।
তিনি জানান, আড়াই হাজার বছরের পুরনো নগরী মহাস্থানগড়ের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ। যা এখানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী ও পর্যটকদের ভীষণভাবে আকৃষ্ট করে।
অবকাঠামো ছাড়া কি ধরনের প্রত্নতত্ত্ব সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে জানতে চাইলে মজিবর রহমান জানান, খনন কাজ সমাপ্ত হওয়ার পর এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলা সম্ভব। তবে এ পর্যন্ত গুপ্ত ও মৌর্য আমলের অবকাঠামোর পাশাপাশি বেশ কিছু প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআর/টিআই