নিকেতন সোসাইটিতে রোডের সংখ্যা ১৪টি। প্রবেশের জন্য রয়েছে ৫টি বড় গেইট।
প্রতিদিন সকালে ৫ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যান আফরোজ ইসলাম।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, নিকেতন সোসাইটি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছি। এখানে তেমন কোনো সমস্যা নেই। রাস্তায় ধুলাবালির পরিমাণটা অনেক বেশি। সকালে রাস্তায় বের হলে রুমাল অথবা কাপড় দিয়ে নাক ঢেকে রাখতে হয়। বাচ্চাকেও তাই করি। তা না হলে রাস্তার এ ধুলাবালি থেকে নানা রোগ হতে পারে।
বাচ্চু নামে এক আনসার সদস্য বলেন, এলাকাবাসী ধুলাবালি ছাড়া কোনো রকম সমস্যা দেখছি না। এখানে অনেক বাড়ি তৈরির কাজ চলছে, তাই বসবাসরতদের চলা ফেরার একটু অসুবিধা হচ্ছে।
নিকেতন সোসাইটির সিকিউরিটি বাবুল বাংলানিউজকে জানান, রাস্তার ধুলাবালির সমস্যায় সবাই ভুগছে।
সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তার পিচ উঠে গেছে। এ বিষয়ে আমরা মেয়র মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি। সিটি মেয়র আমাদেরকে সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন।
তিনি বলেন, নিকেতনে বেশ কিছু রোডের পাশে বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে। যেকারণে রাস্তায় ধুলার পরিমাণটা কিছুটা বেশি। তবে, বাড়ি তৈরি হয়ে গেলে এ সমস্যা আর থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ক্লিনিং ট্রেইলোডার কিনবো। রাস্তা ঘাট পরিষ্কার করার জন্য। এছাড়াও একটি প্রজেক্ট থেকে ২৫ কোটি টাকা রাস্তার এবং পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য বাজেট করা হয়েছে। আশা করছি, এটি পাস হলে আমাদের রাস্তার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমরা নিকেতনে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করবো।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৭
ওএফ/পিসি