শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে নওগাঁ সরকারি জেলা স্কুলের ১০০ বছর পূর্তি উৎসব উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি শিশুই মেধাবী এবং সৃজনশীল।
সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, পরীক্ষায় ভালো ফল করলেই জীবনে সফল হওয়া যায়, এ কথার কোনো ভিত্তি নেই। ভালো করে কেউ যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হবেন আবার কেউ কেউ নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করে শিল্পী হবে, কবি-সাহিত্যিক হবে। শিশুদের সেই সৃজনশীলতাকে বিকশিত করতে হবে। এটার দায়িত্ব শিক্ষক ও অভিভাবকদেরই নিতে হবে।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, শিক্ষকরা আমাদের ছোট্ট চারাগাছের মতো লালন-পালন করতেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা-সংস্কৃতিতে সমানভাবে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করতেন। কিন্তু এখনকার লেখাপড়ায় পার্থক্য দেখা দিয়েছে। এখন ভালো ফলাফল করাই শিক্ষক-অভিভাকদের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনকার শিক্ষাব্যবস্থাকে আমি বলি, জিপিএ-৫ নির্যাতন শিক্ষাব্যবস্থা। জিপিএ-৫’র প্রতিযোগিতায় দৌড়াতে গিয়ে আমাদের শিশুদের মধ্য থেকে মানবিক মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে দুপুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শতবর্ষ পূর্তির ১০০টি বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
সকালে শতবর্ষ পূর্তি উৎসব উপলক্ষে স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। এতে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৭
এনটি/এসএইচ