শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টায় প্রকাশ্যে হাজীগঞ্জ পেপার মিল এলাকার মালেক মিয়ার দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বাবু হাজীগঞ্জ পেপার মিল এলাকার আজিজ হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, হাজীগঞ্জ এলাকাতে মাদক বিক্রি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাবুর সঙ্গে স্থানীয় একটি দলের বিরোধ ছিল। এ নিয়ে এলাকাতে প্রায়ই মারামারির ঘটনা ঘটতো। ওই বিরোধের জের ধরে শুক্রবার রাতে হাজীগঞ্জ পেপার মিলের সামনে ওই গ্রুপের সঙ্গে বাবুর বাক-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তারা বাবুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে হত্যার পর বাবুর মরদেহ শহরের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ফেলে রেখে নিহতের স্বজনদের ফোন দেয় সন্ত্রাসীরা।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামালউদ্দিন জানান, নিহতের পেটে দু’টি ও পিঠে একাধিক জখম রয়েছে।
নিহত বাবুর খালা রত্না বাংলানিউজকে বলেন, আমাকে কেউ একজন ফোন করে জানায় বাবুকে কারা জানি মেরে হাসপাতালে রেখে গেছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে বাবুর মরদেহ দেখতে পাই। বাবুর পরিবারের সবাই বরিশাল থাকে। এখানে বাবু স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে নিয়ে থাকতো।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৭
আরএ