শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের রেহান উদ্দিন জমাদার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে আবু তাহেরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাবেয়া তার সহযোগীদের নিয়ে আবু তাহেরকে হত্যা করে।
নিহত আবু তাহের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে। ১৬/১৭ বছর আগে রাবেয়া খাতুনের সঙ্গে আবু তাহেরের বিয়ে হয়ে। তাদের সংসারে দু’টি মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, স্ত্রীর পরকিয়ার জের ধরে দীর্ঘদিন থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলোহ চলছিল। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে।
নিহতের বড় ভাই নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার থেকে তাহের নিখোঁজ হন। আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ নেওয়া হলেও তাহেরের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে শুক্রবার সকালে রায়পুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করি। জিডি করার পর পুলিশ তদন্তে যায়। প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহ হলে স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসা করা হয়। এতে সহযোগীদের নিয়ে স্বামীকে গলা কেটে হত্যা করার দায় স্বীকার করেন রাবেয়া। পরে তার তথ্যমতে সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
লক্ষ্মীপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রাবেয়াকে আটক করা হয়েছে। হত্যায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৭
আরএ