এ ঘটনায় দুই ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। তারা বরিশাল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র সাইম ও শাহেদ।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টায় বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে হৃদয়ের মৃত্যু হয়।
নিহত হৃদয় পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার চিংগুড়িয়া গ্রামের মো. জিয়াউর রহমান শাহীনের ছেলে। হৃদয়সহ তার সহপাঠীরা নগরের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল পুলিশ লাইন্সের পেছনে পরেশ সাগরের মাঠের কাছে হামলার শিকার হয় তারা।
বরিশাল পলিটেকনিক্যাল কলেজের ছাত্ররা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আহত গোলাম সাজিদ রাফি।
রাফি আরও জানায়, পলিটেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের স্কুলে এসে ছাত্রীদের ইভটিজং করতো। কিছুদিন আগে হৃদয় এ ঘটনায় বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সকালে ১০/১৫ জন একত্রিত হয়ে স্কুলে আসার পথে হৃদয়সহ তাদের ওপর এ হামলা চালায়। এসময় হৃদয়কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে হামলাকারীরা।
খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুত্বর আহত অবস্থায় হৃদয় ও রাফিকে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদয়ের মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার উপরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের বাংলানিউজকে জানান, দুপুরে নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকা থেকে সাইম ও শাহেদকে আটক করা হয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১২১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৭ / আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা
এমএস/এজি/এসআই