শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ফতুল্লার লাঁলপুর রিয়াদ চৌধুরীর মাছের খামার থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ এলাকার বখাটে ও মাদক ব্যবসায়ীরা তাকে হত্যা করে খামারে ফেলে দিয়েছে।
নিহত মানিক মিয়া ফতুল্লার ফাজিলপুর এলাকার মৃত সোনা মিয়ার ছেলে। তিনি বক্তাবলীর বাবুল মিয়ার ইটভাটায় কাজ করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে করতেন।
নিহতের স্ত্রী ডলি বেগম জানান, বক্তাবলীর বাবুল মিয়ার ইটভাটায় তার তিন মেয়ে এক ছেলে নিয়ে তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে কাজ করে ঐ স্থানে বসবাস করে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার স্বামী মানিক মিয়া ইটভাটা থেকে ফতুল্লা যাওয়ার কথা বলে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ। তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান না পাওয়ায় শনিবার সকালে লালপুরে একটি মাছের খামারে তার স্বামীর মরদেহ পড়ে আছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তার স্বামীর মরদেহ শনাক্ত করি।
নিহতের সৎ বোন হালিমা চৌধুরী বলেন, লালপুর এলাকার কয়েকজন বখাটে তার ভাই মানিক মিয়াকে হত্যা করে খামারে ফেলে দিয়েছে। যারা এলাকায় মাদক ব্যবসা করে এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে তাদেরকে ধরতে পারলে ঘটনার আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, মানিক মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারন জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৭
বিএস