'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেওয়ারও দাবি জানান মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে জাদুঘরের সামনে সাংবাদিকের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তিনি এ দাবি জানান।
মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘বাংলাদেশে সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের কোনো বিচার হয় না। শুধুমাত্র সমকাল পত্রিকার সাংবাদিক গৌতম দাস হত্যার বিচার বর্তমানে নিম্ন অাদালতে আছে। উচ্চ অাদলতে গিয়ে এর রায় কী হয়, সেটাই দেখার বিষয়। এছাড়া এমন আর কোনো ঘটনার বিচার হয়নি। ’
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুইজন সাংবাদিককে থানার ভেতরে টেনে নিয়ে গিয়ে অমানুষিকভাবে পিটিয়েছে পুলিশ। পুলিশের কাছ থেকে এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা এমন বন্ধু চাই না, যে থানার ভেতরে টেনে নিয়ে মারধর করবে, আর পরে বলবে ধাক্কা-ধাক্কিতে সাংবাদিক আহত হয়েছে।
মানববন্ধনে বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন নিউজের হেড অব নিউজ মুন্নী সাহা বলেন, ‘পুলিশ সময়-অসময় সাংবাদিক পেটাবে, আবার তাদের পদোন্নতিও হবে। তাদের ‘সাসপেন্ডেড’ নামে জামাই আদরে বসিয়ে রাখা হবে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ’
তিনি বলেন, রামপালবিরোধীদের হরতালের মধ্যে পুলিশ অন্যভাবে কাভারেজ পাওয়ার জন্য এমনটা করেছে। আমরা সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলার কঠোর বিচার দাবি করছি।
মুন্নী সাহা বলেন, ‘আজ আমরা মৌন প্রতিবাদ করছি, আর আপনারা (পুলিশ) যদি চান তবে আমরা কলম, বোম (মাইক্রোফোন) আর ক্যামেরা রেখে দাঁড়াই। আপনারা নির্যাতন করেন, পুরষ্কার নিয়ে যান। ’
সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা অংশ নেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদে ডাকা হরতালের ভিডিও চিত্র সংগ্রহ করতে গেলে পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হন এটিএন নিউজের ক্যামেরাপারসন আব্দুল আলিম ও রিপোর্টার ইসান বিন দিদার। এ সময় দিদার পুলিশকে সাংবাদিক পরিচয় দিলেও কর্ণপাত করেনি। পরে থানার ভেতরে নিয়ে দু‘জনকে নিযার্তান চালায় পুলিশ।
এ ঘটনায় শাহবাগ থানার এএসআই এরশাদ মন্ডলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্যদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৭/ আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা
এসজেএ/টিআই