ঢাকা, রবিবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘সম্পদের সম-বণ্টন এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৭
‘সম্পদের সম-বণ্টন এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি’ ‘সম্পত্তি সংরক্ষণের উদ্যাগের নিরীক্ষে বাংলাদেশে সম্পত্তির ব্যবহারের সুযোগ ও বাস্তবতা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল

ঢাকা: বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেও সম্পদের সম-বন্টন ও অধিকার তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিষ্ঠা করতে এখনো পিছিয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্স সেন্টার (পিপিআরসি) সভাপতি ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত ‘সম্পত্তি সংরক্ষণের উদ্যাগের নিরীক্ষে বাংলাদেশে সম্পত্তির ব্যবহারের সুযোগ ও বাস্তবতা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ ক্রাইমের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে জমি সংক্রান্ত বিরোধ জড়িত।

ফলে জমি নিয়ে বিরোধ আজ মারাত্মক একটি সমস্যা। আমাদের দেশের প্রধান একটি সমস্যা হচ্ছে কোনো সেক্টরে সমস্যা দেখা দিলে তা দ্রুত সমাধান না করে এটাকে আরও বেশি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করা। জমি নিয়ে দেশে প্রতিনিয়ত যে বিরোধ হচ্ছে তার স্থায়ী সমাধানে সরকারের নজর নেই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে জমি অধিকার আইন থাকলেও এর সঠিক কোনো প্রয়োগ না থাকায় ১৬ শতাংশ জমি অবৈধ দখলে যাচ্ছে। এছাড়া ৫২ শতাংশ জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়েও সমস্যা হচ্ছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে জমি সংক্রান্ত আইন সম্পর্কে মানুষের সঠিক ধারণা নেই। আর যারা ভূমি পরিমাপক ( আমিন) আছেন তারা প্রভাশালীদের ধারা প্রভাবিত হয়ে অনেকাংশে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, এসব সমস্যার সমাধানে জমি সংক্রান্ত আইন সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। এছাড়া ভূমি মন্ত্রণালয়কে তৃণমূল পর্যায় থেকে এ সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করতে হবে।

আলোচনা অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাউল আলম বলেন, দেশের প্রতিটি ভূমি অফিস এখন জনবান্ধব। জনগণকে যেকোনো ধরনের তথ্য দিয়ে সাহায্য করা হয়। তবে, আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে সেগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, জমি বিরোধ মেটানো সম বণ্টনের জন্য আমরা নতুন ভূমি অধিগ্রহণ আইন করার পরিকল্পনা করছি। খুব দ্রুত আমরা এই আইনটি পাস করার লক্ষ্যে কাজ করবো।

অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেঞ্জ ইরফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি পার্টনারশিপ স্ট্রেংথেনিং ইউনিটের ডিরেক্টর কেএম মোরশেদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফেরদৌস জাহান ও লেকশোর হোটেলে এইচআরএলএস প্রোগ্রাম প্রধান ব্যারিস্টার সাজেদা ফারিসা কবির প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৭

এমএ/এএটি/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।