শনিবার (২৮ জানুয়ারি) মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহবান জানান।
হোটেল সোনারগাঁয়ে এক্সপেরিয়েন্স শেয়ারিং অব এনএইচআরআই: চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড হোয়াই ফরোয়াড- শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
সেমিনারের উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।
সেমিনারে আইনমন্ত্রী বলেন, যে সব গরিব মানুষ নির্যাতনের শিকার হয়ে অর্থের অভাবে আইনের আশ্রয় নিতে পারে না তাদের জন্য সরকারের একটি লিগ্যাল এইড কমিটি কাজ করছে। মানবাধিকার কমিশনকে এই কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার আহবান জানাচ্ছি।
আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার মানবাধিকার সংরক্ষণ ও মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। বর্তমান সরকার দেশে মানবাধিকার সংরক্ষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে অনেক ক্ষেত্রে সফল হয়েছে। অতীতের তুলনায় বর্তমান সরকারের সময় মানবাধিকার পরিস্থিতির যে উন্নতি হয়েছে সেটা দৃশ্যমান।
মানবপাচার সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বলেন, মানবপাচার প্রতিরোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সীমান্তে সতর্ক রয়েছে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এইচ এল দত্ত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতকে প্রায় একই রকম সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়।
সেমিনারে এইচ এল দত্ত মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে বলেন, ভারতে মানবাধিকার কমিশন গঠন করা হয় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের নিয়ে। সেখানে মানবাধিকার কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করে। মানবাধিকার কমিশন যে রিপোর্ট প্রকাশ করে সরকার তার বিরোধিতা করে না।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, ইউএনডিপির বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, আমিরুল কবীর চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৭
এসকে/আরআর/বিএস