শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে সোনারগাঁও প্যান প্যাসিফিক হোটেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকার মানবাধিকার রক্ষায় শক্তিশালী আইন প্রণয়নের পাশাপাশি মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুল।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পরপরই স্বাধীন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠন করেন। সরকারের আন্তরিকতা ও সহযোগিতায় বর্তমানে এ কমিশনের সক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কমিশন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ও স্বাধীনভাবে মানবাধিকার সুরক্ষায় ও উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশের সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী হলেও দরিদ্র জনগোষ্ঠী আর্থিক অস্বচ্ছলতা ও অন্যান্য কারণে এ অধিকার থেকে বঞ্চিত হতেন। তাদের এ অধিকার প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনা সরকার আইনগত সহায়তা দেওয়ার আইন প্রণয়ন করেছে এবং এ আইনের অধীনে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে এ সংস্থা বিনা খরচে দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের আইনি সহায়তা দিয়ে তাদের আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকার প্রতিষ্ঠা করছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে আমাদের মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমান্বয়ে উন্নতি ঘটছে। এক্ষেত্রে বিচার বিভাগেরও অবদান রয়েছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভারতীয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি ডি. এল দত্ত, বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমির-উল ইসলাম, ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মূখার্জী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি আমিরুল কবির চৌধুরী এবং সার্বক্ষণিক সদস্য নজরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৭
এসএইচ