গুলশানের ৪৩ নম্বর সড়কের ৩৮ নম্বর বাড়ির সামনে থেকে শুক্রবার রাতে রানীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রানীর বাবার বাড়ি সিলেট সদর থানার আদর্শ গ্রামে।
নিহতের বোন শাহনাজ বেগম বাংলানিউজকে বলেন, স্বামী আলমের সাথে ৪-৫ বছর আগে রানীর ডিভোর্স হয়ে যায়। তাদের ছেলে শান্ত (১৮) বাবার সাথে জামালপুরে থাকে আর মেয়ে প্রতিবন্ধী নন্দিনী (৫) মায়ের সাথে থাকতো।
তিনি জানান, রানী চাকরি করতো বলে জানতেন, কিন্তু কী চাকরি সে বিষয়ে কিছু জানতেন না। প্রতিদিনই তার রাতে ডিউটি ছিল। রাত ৮টার দিকে সে বাসা থেকে বের হতো আর সকালে বাসায় আসতো।
তিনি বলেন, আমরা শুনেছি সে এক্সিডেন্টে মারা গেছে। কিন্তু গুলি করে মেরেছে এটা ভাবিনি। মেডিকেল আসার পর শুনলাম সে গুলিতে মারা গেছে। তাকে গুলি করে মারবে এমন কোন শত্রুও নেই তার।
শনিবার দুপুরে রানীর ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয় ঢামেক মর্গে। তার মরদেহের বাম বুক ও ফুসফুস থেকে দু’টি গুলি উদ্ধার করা হয়।
হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ময়না তদন্তের আগে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আলম।
সুরতহাল প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে গুলশানের ৪৩ নম্বর সড়কের ৩৮ নম্বর বাড়ির সামনে একজন নারীর পড়ে থাকার খবর পাওয়া যায়।
ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসক রাত একটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
*গুলশান থেকে উদ্ধার অজ্ঞাত পরিচয় নারীর ময়না তদন্ত সম্পন্ন
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৭
পিএম/আরআই