অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে হকারদের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার দাবিও জানান তিনি।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) বেলা ১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।
বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে হকার সমন্বয় পরিষদ।
আবুল হোসাইন বলেন, পাশের দেশ ভারতে যেভাবে আইন করা হয়েছে, সেভাবে বাংলাদেশে হকারদের জন্য আইন করতে হবে। আমরা এতোভাবে মেয়রকে বুঝাচ্ছি, কিন্তু মেয়র যে কার কথা শুনছেন তা জানিনা। মেয়র যে তিনটি সংগঠনের সঙ্গে মিটিং করেছেন, তারাও এই হকার উচ্ছেদের বিরোধিতা করেছে। তবে কার সিদ্ধান্তে তিনি হকার উচ্ছেদ করছেন তা আমাদের জানা নেই।
তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকার সব হকার আজ ঐক্যবদ্ধ। আমাদের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই। আজকে আমরা রুটি রুজির জন্য সকলেই ঐক্যবদ্ধ। আজকে হকার জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলেছি।
সমাবেশে মতিঝিল এলাকার হকার নেতা সরদার খোরশেদ বলেন, আমরা বেকার থেকে হকার। এই জন্য ফুটপাতে বসছি। আমাদের পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদ চলবে না। হকারদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে দ্রুত হকার উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসুন। না হলে মেয়র মির্জা আব্বাসের মতো আপনারও অবস্থা হবে।
হকার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে গুলিস্থানের তৃতীয় লিঙ্গ সমিতির সভাপতি অনু বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে ঘোষণা দিলেও আমাদের কর্মসংস্থানের কোনো ব্যবস্থা করেন নাই। এই হকারদের থেকে কিছু টাকা তুলে আমাদের জীবন চলে। সেটাও আজ বন্ধ করা হয়েছে। তাদের যদি পুনরায় বসতে পারে তবে ঢাকা শহরের দেড় লাখ তৃতীয় লিঙ্গ রাজপথে নেমে হকারদের সঙ্গে আন্দোলন করবে।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে হকার সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক আবুল হোসাইনের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসাইনের কাছে একটি স্মারক লিপি জমা দেন।
এ সময় বিক্ষোভ সমাবেশে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত প্রায় ২শ’ হকার উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা জানুয়ারি ২৯,২০১৭
এমএ/বিএস