একটি কক্ষে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজি বিষয়ে, অপর একটি কক্ষে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের গণিত বিষয়ে কোচিং করাচ্ছেন তিনি।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এমএ আশরাফ সকাল সাতটা থেকে তিনটি ব্যাচে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীদের কোচিং করান। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা স্কুলে এসে বসার কোনো জায়গা না পেয়ে নীচতলায় দাঁড়িয়ে থাকে। স্থানীয় ও প্রভাবশালী হওয়ায় প্রধান শিক্ষকের বাধা উপেক্ষা করে তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন কোচিং বাণিজ্য।
কোচিং করতে আসা সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুনতারীন, শম্পা খাতুন, সুবর্ণা খাতুন, মার্জিয়া খাতুন ও নুরসালীন খাতুন বাংলানিউজকে জানান, সকাল ৮টা থেকে তারা গণিত বিষয়ে প্রাইভেট পড়ছে। প্রতি মাসে প্রত্যেকে ৩০০ টাকা করে বেতন দেয় ওই শিক্ষককে।
এ বিষয়ে রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ক্লাস রুমে কোচিং করতে ওই শিক্ষককে বার বার নিষেধ করা হলেও তিনি তা শোনেন নি।
অভিযুক্ত শিক্ষক এমএ আশরাফ কোচিং করানোর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমাকে বড় সংসার চালাতে হয়। এজন্য কোচিং করাই। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের কোচিং করানো অবৈধ কিনা সেটা আমার জানা নাই।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেকোন কোচিংই অবৈধ। রাজাপুর স্কুলে কোচিং করানোর বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এ ব্যাপারে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিক ইউসুফ রেজা বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোচিং করানো কোনো মতেই বিধিসম্মত নয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই স্কুলে কোচিং বন্ধ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭
এনটি/আরএ