এর আগে, ২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বর ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধানমন্ত্রী তাকে জানান, ২০১৭’র ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফরের আগ্রহের কথা।
২০১৬’র ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের যে কথা ছিল তাতে মূল বিষয় ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক হাজার ৬৬৮ জন সদস্যকে সম্মাননা প্রদান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন দিবসের আনুষ্ঠানিকতা সেরে সেই রাতেই ঐতিহাসিক নয়াদিল্লি সফর করেন শেখ হাসিনা। সেই সফরে দুই দেশের মধ্যে ৫০টি যৌথ ইশতেহার ঘোষণা হয়। যার ভিত্তিতে গত সাত বছরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের এক নতুন মাত্রা সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় প্রতিটি ইশতেহার বাস্তবায়নে কাজ এগিয়ে গিয়েছে। স্থল সীমানা চুক্তির বাস্তবায়ন হয়েছে। কিন্তু তিস্তার পানি চুক্তি অধরায় রয়ে গেছে।
তিস্তা চুক্তি না হওয়ার জন্য ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিকেই দায়ী করছেন তিনি। ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংহের ঢাকা সফরকালে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর স্থগিত হয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় শেষ সময়ে ঢাকায় না আসায়।
তবে এবারকার সফরে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নিহত ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের সম্মাননা বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে।
তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কয়েকবার সফর পিছিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি ভারতে ২০১৭ সালে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের কথা বলেন। যা চলবে ১১ মার্চ পর্যন্ত। উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, মণিপুরে হবে এ নির্বাচন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণেই তিনি এ সফর করবেন। ২০১৫ সালেরে মাঝামাঝি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সফরে শেখ হাসিনাকে নয়াদিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে যান। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী সম্প্রতি এ সময়সূচির বিষয়ে অপেক্ষা করার কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭
কেজেড/আইএ