তিনি সার্চ কমিটি নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কথা বলার আগ্রহেরও সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, তাদের কোনো বক্তব্য থাকলে সেটা আন্তর্জাতিক চ্যানেলে বলতে হবে।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) সংসদ অধিবেশনের পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, রাষ্ট্রপতির কথার উপরে কোনো কথা নেই। তিনি গভীরভাবে শ্রদ্ধাশীল। সংবিধানের ক্ষমতা বলে সার্চ কমিটি গঠন করেছেন। কিন্তু অত্যন্ত আশ্চর্যের সঙ্গে দেখলাম, বিএনপি সার্চ কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাইছে। রাষ্ট্রপতির এই কমিটি করার পরে কারো কথা বলার অধিকার নেই। ৪৮ (৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, তার বক্তব্য তার কথা, সংবিধান অনুযায়ী কারো প্রশ্ন তোলার অধিকার নেই।
বিএনপিকে যদি সাংবিধানিক ভাবে রাজনীতি করতে হয় তাহলে সংবিধান জেনেই করতে হবে।
সুরঞ্জিত বলেন, ইসি পুনর্গঠন নিয়ে জাতিসংঘও আগ্রহ দেখাচ্ছে। জাতিসংঘের স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রক্রিয়ার উপর কোনো কথা বলার এখতিয়ার বা সংশ্লিষ্টতা বিশ্নের কোনো দেশেই নেই। তাদের যদি কোনো কথা থাকে সেটা ডিপ্লোম্যাটিক চ্যানেলে তারা বলতে পারেন।
তিনি বলেন, এতে আমরা বিব্রত হই। সাংবিধানিক পথ ছাড়া অন্যভাবে এই জাতিকে বিব্রত করা ঠিক হবে না। তারা তাদের ওয়েতে কথা বলতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, এখনও অবশিষ্ট আছে, সুযোগ যায় নাই। রাষ্ট্রপতি অনুসন্ধান কমিটি করে দিয়েছেন। বিএনপির যদি কোনো কথা থাকে, তারা অনুসন্ধান কমিটিতে বলতে পারেন। তারা বলতে পারেন, এই লোক না নিয়ে ওই লোক নেন। ওই লোক না নিয়ে ওই লোক নেন। এটা সংবিধান প্রণিধান যোগ্য হতে পারে। অন্য কোনো উপায় নেই।
বিএনপি গণতান্ত্রিক উপায়ে ফিরে এসেছেন বলে দাবি করছেন। তাহলে তাদেরকে সংবিধান সম্পর্কে আরো ওয়াকিবহাল ও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। এটা হয়েই দেশের এই সংকট থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা কি চাই রাষ্ট্রপতির কাছে বলে এসেছি। সংবিধানের মধ্য থেকেই কেবলমাত্র ক্ষমতার ব্যবহার করতে হবে। দেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন রেখেই সংবিধান অনুসারেই অগ্রসর হতে হবে।
এই নিয়ে আমরা নানান কথা দেশে ও দেশের বাইরে বলছি। কিন্তু আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আমরা যে যতো বড় নেতাই হই না কেন এই রাষ্ট্রের সংবিধানের অধীনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির উপরে অবস্থান নিয়ে কথা বলতে পারবো না।
** সংসদে শিপিং কর্পোরেশন বিল উত্থাপন
বাংলাদেশ সময়: ১০০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭
এসকে/বিএস