তবে নতুন পরিকল্পনায় ৮৬ দশমিক ৪২ একরের পরিবর্তে ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে ৮০ দশমিক ১০ একর।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগে প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
চূড়ান্ত নকশার ওপর বিস্তারিত ব্যয় প্রাক্কলন, মাটি ভরাট এবং কড়াইল বস্তিবাসীর একটি পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ব্যয় ও মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
রাজউক সূত্র জানায়, মূল উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১৩ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৪১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এরপর ব্যয় বাড়ানো ছাড়া ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। এবারের সংশোধিত ডিপিপি’তে ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ২ হাজার ৪৮৭ কোটি ৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৮০ দশমিক ১০ একর জমি অধিগ্রহণ বাবদ ব্যয় হবে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। আর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত।
চূড়ান্ত পুনর্গঠিত এ ডিপিপি ইতোমধ্যেই পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে রাজউক।
রাজউক সূত্র জানায়, হাতিরঝিল প্রকল্পের কোল ঘেঁষে অবৈধ দখল থেকে গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উদ্ধার, লেকের পানি ধারণ ক্ষমতা পুনরুদ্ধার এবং পানির গুণগত মান রক্ষাসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের মাধ্যমে ঢাকা শহরের চারদিকের সৌন্দর্য বাড়ানো হবে। বিভিন্ন বিনোদনমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে লেকের পরিবেশের উন্নয়ন করা হবে।
লেকের ৮টি স্থানে হাতিরঝিলের মতোই নান্দনিক সেতু ও সেগুলোর ওপরে চারটি ওভারপাস তৈরি করা হবে। এর মধ্যে গুলশান ও বাড্ডার মধ্যে একটি এবং গুলশান-২ থেকে বারিধারা যেতে একটি সেতু নির্মাণ ছাড়াও নিকেতনে বিদ্যমান সেতুটি ভেঙে বড় সেতু তৈরি করা হবে। এছাড়া, শাহজাদপুরের ঝিলপাড়ে একটি, বনানী থেকে গুলশান-২ নম্বরে যেতে একটি, গুলশান-১ নম্বরের কাছে একটি এবং বনানী থেকে গুলশান-২ নম্বরে যেতে একটি সেতু নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্প এলাকায় ২৪ হাজার ৬২২ দশমিক ১৬ মিটার রানিং মিটার ওয়াকওয়ে, ২ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ মিটার ওয়াকওয়ে এবং ১১ হাজার ৬৪ মিটার ড্রাইভওয়ে নির্মাণ করা হবে।
অন্যদিকে দেড় হাজার রানিং মিটার তীর সংরক্ষণ, ৬৯ হাজার ৬১ বর্গমিটার টার্ফিং ও ২ হাজার ৪৮০ মিটার ড্রেনেজ লাইন নির্মাণসহ ৭৫০টি পিট ও তিন হাজার বৃক্ষরোপণ করা হবে।
২ দশমিক ১০ একর আয়তনের পার্ক, দুই হাজার মিটার ওয়াল, ২২ হাজার ১১৮ রানিং মিটার আরসিসি পাইপ স্থাপন ও পরামর্শক সেবা নিয়োগ দেওয়া হবে। লেকের চারপাশে সাধারণ মানুষের হাঁটা-চলার ব্যবস্থা থাকবে ২৪ হাজার ৬২২ দশমিক ১৬ রানিং মিটার জুড়ে।
গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আমিনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, হাতিরঝিলের পাশেই এটি হবে আরও একটি হাতিরঝিল। যেভাবে হাতিরঝিল প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে, একইভাবে এ প্রকল্পেরও বাস্তবায়ন করবো। আশা করছি, এবার বৃদ্ধি করা সময় ও ব্যয়ের মধ্যে আমরা লেকের উন্নয়ন কাজ সম্পূর্ণ করতে পারবো’।
‘২০২০ সালের মধ্যেই নগরবাসীকে হাতিরঝিলের মতো আরও একটি প্রকল্প উপহার দেবো’- বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর