ঢাকা, রবিবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

রওশনের পদ নিয়ে প্রশ্ন এমপি তাহজীবের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭
রওশনের পদ নিয়ে প্রশ্ন এমপি তাহজীবের

ঢাকা: বর্তমান সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের পদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঝিনাইদহ-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী।

দশম জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশনে রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাতে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তাহজীব আলম সিদ্দিকী বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধীদলীয় নেতার গুরুত্ব অপরিসীম।

বিরোধী দলীয় নেতা শুধু একজন সাধারণ সংসদ সদস্যই নন, সামগ্রিকভাবে সংসদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা তার দায়িত্ব ও কর্তব্য। কিন্তু অত্যন্ত উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, বিরোধীদলীয় নেতা নামক সংসদীয় গণতন্ত্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।         
 
এসময় তিনি ২০১৬ সালে চীনা রাষ্ট্রপতির সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, চীনের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান এবং সরকারের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে যথারীতি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন। সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন স্পিকার এবং আরও অনেকে। এমনকি সংসদের বাইরে ২০ দলীয় জোটের নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার দেখা পেয়েছেন। শুধু সাক্ষাত পাননি আমাদের সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ।
             
তিনি বলেন, আমাদের বিরোধী দলীয় নেতা যদি বেঞ্চের প্রথম আসনটির মোহ হারিয়ে ফেলে আসনটি ছেড়ে দেন, তাহলে তথাকথিত রাজনৈতিক সকল সংকটই কেটে যায়। বেঞ্চের প্রথম আসনটি যেহেতু আপাতত সব প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঊর্ধ্বেই, সংসদের বাইরের বিরোধী শক্তির নেত্রী আপাতত বেঞ্চের প্রথম আসনটি ও তার সঙ্গে সম্পর্কিত সান্তনাসূচক সব রকম সুযোগ-সুবিধা ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারেন। তাতে আমাদের রাজনীতি নিয়ে পশ্চিমাদের নাক গলানো বন্ধ হবে এবং রাতে টকশোতে জনগণকে টক টক কথাও শুনতে হবে না।
 
রাষ্ট্রপতির ভাষণ গতানুগতিক আখ্যায়িত করে বলেন, অতীতের ভাষণের যে চিরাচরিত এবং শাশ্বত সংস্কৃতি, রাষ্ট্রপতি বরাবরের মতো এবারও তা থেকে বের হয়ে আসতে পারেননি। তাই রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে প্রত্যাখ্যান করছি। তবে ভাষণ প্রত্যাখ্যান করলেও ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

পাঠ্যপুস্তকে ভুল থাকায় শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করে তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে সব সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে গত দুই বছর ধরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বড় সাফল্য ছিলো বছরের প্রথম দিবসে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে নির্ভুল ও ত্রুটিমুক্ত বই বিতরণ করা।
 
মনে হয় ভালো কাজ করে জাতিগতভাবে সহজেই আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগি এবং ভালো কাজের ছন্দপতন ঘটাই। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিণতিও বোধ হয় তা-ই হলো। প্রথম দিবসে বই-উৎসবের সাফল্য ম্লান করে দিলো একেবারে ভুলে ভরা পাঠ্যবইগুলো, হয়েছে বানান ভুলের মহোৎসব।
 
বাংলাদেশ সময়: ০২১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৭
এসএম/এজি/এএটি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।