সিটির বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, ডাস্টবিনটি যে ফ্রেমের মধ্যে ঝুলানো থাকে শুধু সেটিই আছে। কিন্তু যে পাত্রের মধ্যে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হবে সেটি নেই।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনেও কয়েকটি ডাস্টবিনের শুধু ফ্রেম দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু ময়লা রাখার সেই পাত্রটি নেই। এছাড়া বিজয় সরণি মোড়, মহাখালী, সৈনিক ক্লাব, বনানী, তেজগাঁও, শাহবাগ, আজিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। এসব এলাকায় কোথাও শুধু ফ্রেমটি আছে, আবার কোথাও ফ্রেমের পাশেই খোলা অবস্থায় পড়ে আছে ময়লা রাখার পাত্রটি।
ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ডলি আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, সিটি করপোরেশন যে কাজটি করেছিল, তার জন্য অবশ্যই তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। তবে এর ধারাবাহিকতার প্রয়োজন ছিল।
পুরান ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সুজন হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কেনো জানি ভালো কাজগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারছি না। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ডাস্টবিন বসানো সিটি করপোরেশনের একটি ভালো উদ্যোগ ছিল। এখন এগুলো তদারকি করা দরকার। না হলে এগুলো করতে যে টাকা ব্যয় হয়েছে সেগুলো অপচয় ছাড়া কিছু না। আশা করবো যারা দায়িত্বে আছেন তারা বিষয়টি লক্ষ্য করবেন।
সূত্র জানায়, দুই সিটিতে এগুলো বসাতে প্রায় পৌনে ছয় কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন স্থানে আমরা ৫ হাজার ৭শ’ মিনি ডাস্টবিন বসিয়েছি। সেখান থেকে ২ বা ৩% নষ্ট হয়েছে। আমাদের কাছে এমন তথ্য আছে।
এগুলো মেরামত বা এ নিয়ে পরবর্তী পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের লোকেরা সেগুলো তদারকি করছে। যেগুলো একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে সেগুলো নতুন করে লাগানো হবে। আর যেগুলো ঠিক করা যায়, সেগুলো ঠিক করা হবে।
এবিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এক হাজার মিনি ডাস্টবিন বসিয়েছি। সেখান থেকে ১৭১ টি ডাস্টবিন একেবারে ভেঙে গেছে, কোনোটির হাতল ভেঙে গেছে। এরকম তথ্য আমাদের কাছে আছে।
এগুলো মেরামত করা বা পরবর্তী পরিকল্পা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আপাতত আমাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। পরবর্তীতে নতুন করে করা হলে তখন দেখা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭
এমএইচকে/পিসি