তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কারাগারের আশপাশে আদালত না থাকায় অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। কারণ আমরা দেখেছি কারাগার থেকে আনা নেওয়া করতে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনে গিয়ে প্রধান বিচারপতি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, পিলখানার বিডিআর বিদ্রোহ মামলা খুব দ্রুতই নিষ্পত্তি করা হবে। আমি বিচারকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, আমার (প্রধান বিচারপতির) ব্যক্তিগত কোনো ফান্ড নেই। তারপরও আমার পক্ষ থেকে আসামিদের এক লাখ টাকার বই দেওয়া হয়েছে। বইগুলো জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও কাজী নজরুল ইসলামের উপর লেখা। এছাড়াও বাইরের কিছু বই রয়েছে তা বাংলায় অনুবাদ করা।
প্রধান বিচারপতি আইজি প্রিজনকে কারাগারে একটি উন্নত লাইব্রেরি করে কয়েদিদের বইগুলো পড়তে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে প্রধান বিচারপতিকে নানা বিষয়ে অবগত করেন সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির। তিনি প্রথমে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জে আসামিদের নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।
বর্তমানে নতুন কারাগারে কতজন আসামির ধারণ ক্ষমতা রয়েছে তা ব্যাখ্যা করেন। এছাড়া নতুন কারাগারের বিভিন্ন সমস্যার বিষয় তুলে ধরেন। কারাগারের সীমানা দেয়াল না থাকায় কারারক্ষীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তার সঙ্গে একমত পোষণ করে আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেন, আমাদের কারাগারে গ্যাস না থাকায় প্রতিদিন কয়েক টন লাকড়ি পুড়িয়ে আসামিদের জন্য রান্না করা হচ্ছে। এছাড়া লাকড়ি রাখার কোনো গোডাউন নেই।
তিনি সংশয় প্রকাশ করে বলেন, আসামিরা যেকোনো সময় লাকড়ি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। এজন্য বিষয়টি নিয়ে আমাদের সারাক্ষণ সংশয়ের মধ্যে থাকতে হয়।
কারাগার পরিদর্শনে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে চারজন রেজিস্ট্রার রয়েছেন। তাদের নিয়ে কারাগার ঘুরে দেখছেন এবং কয়েদিদের সঙ্গে কথা বলছেন।
কারাগারে যাওয়ার পর প্রধান বিচারপতিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন।
**কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনে প্রধান বিচারপতি
**কারা কর্তৃপক্ষকে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ
বাংলাদেশ সময়: ১০৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৭
এজেডএস/বিএস