সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১১টার বরগুনা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু তাহের এ রায় দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন- বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের
ডেমা-গুলিশাখালী গ্রামের মো. রুস্তম হাওলাদার (৫০) ও একই গ্রামের মো.
বাবুল মাঝি (৪৫)।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন- একই গ্রামের মো. বাশার, রিয়াজ
গাজী, মো. খোকন, মো. সেন্টু, ফজলু হাওলাদার, মো. খালেক, মো. মনিরুল
ইসলাম, মো. রহিম, মো. বাবুল, কুটি মিয়া, বাদল ও মো. হানিফ।
সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত মো. হাবিবুর রহমান
জমাদ্দারের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায়। তিনি নিজেকে রাসুল দাবি করতেন এবং বলতেন যে তিনি মৃত মানুষকে জীবিত করতে পারেন।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পাথরঘাটা
থেকে একটি ট্রলারে করে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান ১৬ জেলে। এদের মধ্যে ওই আসামিরা ছিলেন। এসময় বাবুল মাঝি ও রুস্তুম প্রতারক মো. হাবিবুর রহমান জমাদ্দার এর মাধ্যমে মৃত মানুষকে জীবিত করা যায়- এ
বিশ্বাসে অন্য আসামিদের সহযোগিতায় আয়নাল (২৪) ও ফারুক (৪০) নামে অপর দুই
জেলেকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেন।
পরে ট্রলারে থাকা অন্য জেলেদের কাছে এ ঘটনার বর্ণনা শুনে ২০১০ সালের ৬
মার্চ বরগুনা সদর থানায় ১৫ জনকে আসামি করে নিহত আয়নালের বড় ভাই
হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বরগুনার অতিরিক্ত পাবলিক
প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট আকতারুজ্জামান বাহাদুর। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কমল কান্তি দাস ও অ্যাডভোকেট কিছলু তালুকদার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৭
এসআই