ঢাকা, সোমবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

অনুমতি ছাড়া ইয়ার্ড স্থাপন-জাহাজ ভাঙলে জেল-জরিমানা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৭
অনুমতি ছাড়া ইয়ার্ড স্থাপন-জাহাজ ভাঙলে জেল-জরিমানা মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক

ঢাকা: অনুমতি না নিয়ে ইয়ার্ড স্থাপন, জাহাজ আমদানি ও ভাঙার ক্ষেত্রে জেল-জরিমানার বিধান রেখে একটি আইনের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘বাংলাদেশ জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ আইন, ২০১৭’ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে জাহাজ ভাঙার শিল্প রয়েছে।

এটিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার প্রস্তাব করা হয়েছে।

“কোন জায়গায় হবে তার জন্য জোন ঘোষণা করা হবে। সরকারের অনুমতি নিয়ে ইয়ার্ড স্থাপন, ইয়ার্ডের মধ্যেই নির্দিষ্ট জোনের মধ্যে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ অর্থাৎ জাহাজ ভাঙার কাজ করা হবে”।

তিনি বলেন, এটার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন এবং কনভেনশন প্রতিপালন করতে হবে।

এ বিষয়গুলো দেখাশোনা করার জন্য একটি বোর্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় মনোনীত একজন অতিরিক্ত সচিব বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম-সচিব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, চট্টগ্রাম বন্দর, জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সরকার মনোনীত জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের মালিক পক্ষের দু’জন প্রতিনিধি এবং বোর্ডের মহাপরিচালকসহ সদস্য হবেন মোট ১১ জন।

কমিটি বছরে তিন বার সভা করবে। পাশাপাশি পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবে, জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

আইনে শাস্তির উল্লেখ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি অনুমতি ছাড়া ইয়ার্ড স্থাপন করলে অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা বা সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এছাড়া অনাপত্তি সনদ ব্যতিরেখে জাহাজ আমদানি এবং ছাড়পত্র ছাড়া জাহাজ কূলে নিয়ে এসে পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ করলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা বা সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

জোনের বাইরে কেউ ইয়ার্ড পরিচালনা করলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা বা সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

“আর জাল সনদ দিয়ে কোনো সুবিধা আদায় করলে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা জরিমানা হবে” ।

আইনে আটক করার ক্ষমতা রাখা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন অপরাধ সংগঠন বা সংগঠনের উদ্দেশ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ইয়ার্ড, জাহাজ ও মালামাল আটক করা যাবে।

** মন্ত্রিসভায় হজ প্যাকেজ অনুমোদন
** ডাকটিকিট ও খাম উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
** প্রতি বছর ৬ মার্চ জাতীয় পাট দিবস
** বঙ্গমাতা ও শেখ হাসিনার নামে বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৭
এমআইএইচ/আরআইএস/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।