সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে স্পেশাল জজ (জেলা জজ) ও বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এ সাজা দেন।
যশোর স্পেশাল জজ আদালতের পিপি এসএম বদরুজ্জামান পলাশ বাংলানিউজকে এ কথা জানিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত রোকনুজ্জামান ঝিকরগাছা উপজেলার আটুলিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে চৌগাছার মোক্তারপুর গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে নাজমা খাতুনকে বিয়ে করেন রোকনুজ্জামান। বিয়ের আড়াই মাস পরে ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি দিনগত রাতে নাজমাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গোয়াল ঘরের আড়ায় মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন রোকনুজ্জমান।
তবে নাজমার বাবা সন্দেহ থেকে রোকনুজ্জামানসহ তিনজনকে আসামি করে ঝিকরগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ রোকনুজ্জামানকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করলে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
দীর্ঘদিন উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৭
এইচএ/