গত ১৮ জানুয়ারি বিআরটিএ’র মিরপুর কার্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে অব্যবহৃত মোটরসাইকেলের স্তূপ দ্রুত সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন সেতুমন্ত্রী। কিন্তু ১০ দিন পার হয়ে গেলেও মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ হয়নি।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) মিরপুর কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, মূল ভবনের পশ্চিম পাশে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে অনেকগুলো মোটরসাইকেল। ধুলাবালির আস্তরণ পড়ে যাওয়া বাহনগুলো দেখলে সহজেই বোঝা যায় এগুলো দীর্ঘদিনের অব্যবহৃত।
কতদিন ধরে এগুলো রাখা হয়েছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আনসার সদস্য বলেন, শুরু থেকেই একটা-দুইটা করে এতগুলো জমেছে। জব্দ করা মোটরসাইকেল অনেক সময় ডাম্পিংয়ে সরাসরি না দিয়ে এখানে নিয়ে আসা হয়। এভাবেই জমতে জমতে অনেকগুলো হয়েছে।
মূল ভবন আর আনসারদের ক্যাম্পের মাঝখানের রাস্তাটির একপাশে সারিবদ্ধভাবে বাইকগুলো রাখা হয়েছে। এর ফলে মাঝখানের রাস্তাটি সরু হয়ে গেছে। খুব কম পরিমাণে হলেও এ রাস্তা দিয়ে কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত গাড়ি চলাচল করে।
১৮ জানুয়ারি দুপুরে মাসুদুর রহমানকে সাথে নিয়ে ওই কার্যালয়ের পুরো এলাকা ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। সারিবদ্ধ মোটরসাইকেলের সামনে গিয়ে মাসুদকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেছিলেন, মোটরসাইকেলগুলো এখানে কেন? কেন ডাম্পিংয়ে পাঠাওনি? এগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলো।
মন্ত্রীর সামনে মাসুদুর রহমান ‘জ্বি স্যার’ বলে সম্মতিসূচক জবাবই দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর ১০ দিন পার হয়ে গেলেও একই অবস্থায় রয়ে গেছে বাহনগুলো।
এ বিষয়ে জানতে মাসুদুর রহমানের কক্ষে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। ফোনে যোগাযোগ করা হলে ‘ব্যস্ত আছি, পরে ফোন দিব’ বলে রেখে দেন ফোন। পরে চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
প্রতিষ্ঠানটির উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমানের বিভিন্ন কৃতকর্মের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে সেদিন মন্ত্রী বলেছিলেন, মাসুদের সঙ্গে দেখা হলেই প্রায় আমি বলি, ‘মাসুদ তুমি ভালো হয়ে যাও’, কিন্তু সে এখনও পুরোপুরি ভালো হয়নি। মাসুদ দীর্ঘদিন বিআরটিএতে আছে। ব্যবহার ভালো, মধুর মতো। কিন্তু যা করার একটু ভেতরে ভেতরে করে’।
গত বছরও কার্যালয়টি পরিদর্শনে গিয়ে কিছু অনিয়ম ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগের ব্যাপারে মাসুদুর রহমানকে সতর্ক করেছিলেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
** ‘মাসুদ তুমি ভালো হয়ে যাও’
বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭
পিএম/এমজেএফ