বেশিরভাগ সময় এক শ্রেণির ক্লাস চলাকালে অপেক্ষা করতে হয় অপর ক্লাসের শিক্ষার্থীদের। শ্রেণিকক্ষ সংকট থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ের তিনটি কক্ষের একটি বেসরকারি ব্যাংক ও ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রকে ভাড়া দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগণ।
ওই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মৌসুমী জানায়, তাদের শ্রেণিকক্ষের সংকট থাকায় একই রুমে দুই শ্রেণির ক্লাস হয়। মাঝে মধ্যে খোলা আকাশের নিচেও ক্লাস হয়। অথচ স্কুলের তিনটি কক্ষ ভাড়া দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে তাদের সমস্যা হয়। দ্রুত এর সমাধান চায় তারা।
এদিকে ভিয়াইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি রানা বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যালয়ের এই পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের অসুবিধা হচ্ছে। তাই এই সমস্যার সমাধান করতে কয়েক বছর ধরে কর্তৃপক্ষকে একাধিক বার বলেছি। কিন্তু তারা তা আমলে নেয়নি।
এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর দূর্গাডাঙ্গা এসসি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত কুমার রায় বাংলানিউজকে বলেন, তিনটি কক্ষের মধ্যে দু’টি গ্রামীণ ব্যাংক ও একটিতে ভিয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্র রয়েছে। ১০ বছর ধরে কক্ষগুলো ভাড়া দেওয়া হয়েছে। আর আমি মাত্র এক বছর হলো এই বিদ্যালয়ের দায়িত্ব পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ভাড়া দেওয়া বা না দেওয়ার বিষয়টি পরিচালনা কমিটির হাতে। তাই আমি কিছুই করতে পারছি না।
বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সভাপতি তাপস কুমার রায় বাংলানিউজকে জানান, ১০ বছর আগের পরিচালনা কমিটি এই কক্ষগুলো ভাড়া দিয়েছিল। মাস খানেক আগে ভাড়াটিয়াদের ভাড়া বৃদ্ধি করে তাদের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করা হয়েছে।
কক্ষগুলোর ভাড়ার টাকা বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজে ব্যয় করা হয় বলেও দাবি করেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের সংকট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, শ্রেণিকক্ষের সংকট দ্রুতই সমাধান হবে।
এদিকে মো. ফারুক হোসেন নামে এক অভিভাবক বাংলানিউজকে জানান, শ্রেণিকক্ষ থাকতেও ছেলে-মেয়েদের এভাবে কষ্ট করতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও দ্রুত এই সমস্যার সমাধান প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৭
এসআই