মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমি ও বইমেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত ও শনাক্ত করেছি।
এ মামলায় আটজনকে গ্রেফতার করা ছাড়াও কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। খুব শিগগিরই অভিজিৎ হত্যা মামলার চার্জশিট জমা দেওয়া হবে, যোগ করেন ডিএমপি কমিশনার।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় খুন হন অভিজিৎ রায়। সন্ত্রাসীদের হামলায় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও গুরুতর আহত হন।
ওই ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশকে সহায়তা করতে ঢাকায় আসে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা সবাই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে দাবি পুলিশের।
চট্টগ্রাম থেকে আটক ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবী এবং অনন্ত বিজয় দাস খুনের আসামি মান্নান ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহীর বিরুদ্ধে অভিজিৎ হত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।
গ্রেফতার অন্য ছয় জন ব্রিটিশ নাগরিক তৌহিদুর রহমান, সাদেক আলী, আমিনুল মল্লিক, জুলহাস বিশ্বাস, আবুল বাশার ও জাফরান হাসানের মধ্যে কেউ সরাসরি অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়ে থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৭
এসটি/জিপি/এমজেএফ
** বইমেলায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয়