মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য বেগম পিনু খানের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সাম্প্রতিক স্থিতিশীলতা, মায়ানমার সরকারের আভ্যন্তরীণ মুসলিম বিরোধী নীতিমালা এবং প্রতিকূল আর্থসামাজিক কারণে কয়েক দফায় সেখানকার মুসলিম জনগোষ্ঠী সীমান্ত পেরেয়ি কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে।
বর্তমানে ৩৩ হাজারের অধিক শরণার্থী বাংলাদেশের সহযোগিতায় জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই কমিশন পরিচালিত দুইটি রেজিস্টার্ড ক্যাম্পে এবং ৩ লাখের অধিক অনিবন্ধিত মায়ানমারের নাগরিক বিভিন্ন অস্থায়ী সেল্টারে অবস্থান করছে। সম্প্রতি আরও ৬৭ হজার নাগরিক বালাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে।
অপর এক প্রশ্নে উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সম্প্রতি মায়ানমারের অভ্যন্তরে সৃষ্ট ঘটনার পর থেকে অর্থাৎ গত বছর ৮ অক্টোবর থেকে চলতি বছর ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫৩২৬ নাগরিককে (রোহিঙ্গা) বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। রহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্ত এলাকায় প্রতিদিন গড়ে ১৭০টি টহল পরিচালনা করা হচ্ছে।
সরকারি দলের সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৭
এসকে/পিসি
**‘আরএসও’র তৎপরতা বাংলাদেশে নেই’