মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের এক প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনগণের নিরাপত্তা এবং দেশের আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিগত মেয়াদে পুলিশ বাহিনীতে ৩২ হাজার ৩১টি এবং বর্তমান নতুন মেয়াদে ৫০ হাজার পদে জনবল বৃদ্ধির নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
সরকারি দলের অপর সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইয়াবার অনুপ্রবেশ বন্ধে ২০০৯ সালে কক্সবাজার টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি সার্কেল অফিস স্থাপন করা হয়েছে।
ইয়াবার উৎস দেশ মায়ানমার হওয়ায় ২০১১ সালের ১৫-১৬ নভেম্বর মায়ানমারের ইয়াঙ্গুনে এবং ২০১৫ সালের ৫-৬ মে ঢাকায় উভয় দেশের মাদক নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত সংস্থার মহাপরিচালক পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ১৩-১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ-মায়ানমার ৩য় বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকপাচার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খানের প্রশ্নের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে কোনো সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মাদকাশক্তি চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক এ পর্যন্ত ১৭৯ টি মাদকাশক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রকে মাদকাশক্তি চিকিৎসার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। যা দেশের চাহিদার তুলনায় নেহায়েৎ অপ্রতুল।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৭
এসকে/পিসি
**‘সম্প্রতি ৬৭ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে’
**‘আরএসও’র তৎপরতা বাংলাদেশে নেই’