ঢাকা, সোমবার, ২৯ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘পাঁচ বছর কারাদণ্ডের বিধান রেখে জীববৈচিত্র্য আইন পাস’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৭
‘পাঁচ বছর কারাদণ্ডের বিধান রেখে জীববৈচিত্র্য আইন পাস’

সংসদ ভবন থেকে: ঔষধি গুণ সম্পন্ন ভেষজ ও তা থেকে উৎপাদিত পণ্য রাষ্ট্রের অনুমোদন ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার ও বিদেশে পাচার করলে ৫ বছরের কারাদণ্ডের আইন পাস করা হয়েছে। 

এ আইনে বলা হয়েছে- বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন ঔষধি গুণ সম্পন্ন ভেষজ ও তা থেকে উৎপাদিত পণ্য রাষ্ট্রের অনুমোদন ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার, গবেষণা লব্ধ ফলাফল নিজের অধিকারে সংরক্ষণ, পাচার বা বিদেশে হস্তান্তর করতে পারবেন না। এটা করা হলে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও দশ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।

 

এ সংক্রান্ত বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য বিল-২০১৭ নামে একটি বিল মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সংসদে পাস করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদে বিলটি পাস করার জন্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়।  

আইনে বলা হয়েছে, বাণিজ্যিক উদ্দেশে জীব সম্পদের ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য তৈরি বা উৎপাদন যেমন- ঔষধি, শিল্পের এনজাইম, খাদ্য ও দেহে ব্যবহার্য সুগন্ধি, রঙ, প্রসাধনীসহ প্রাণিসম্পদের কৌলিগত পরিবর্তনের উদ্দেশে অন্য জীব থেকে নির্যাস বা জীন সংগ্রহ। এ আইনের মাধ্যমে জীব সম্পদের ওপর রাষ্ট্রীয় মালিকানা ও জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিপন্ন প্রজাতি সংরক্ষণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।  

ফলে রাষ্ট্রের অনুমোদন ছাড়া এখন থেকে দেশি-বিদেশি কোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ সংক্রান্ত দেশীয় জীন বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার ও গবেষণা লব্ধ ফলাফল এককভাবে নিজের অধিকারে সংরক্ষণ বা পাচার বা বিদেশে হস্তান্তর করতে পারবেন না। এ আইনের অধীনে কৃত কোনো অপরাধ বিচারার্থে কোনো আদালতে গ্রহণের ক্ষেত্রে শর্তযুক্ত করে কর্তৃপক্ষকে দায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  

একইসঙ্গে নিত্য-প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য হিসেবে বিপণন হয়ে থাকে এমন জীব সম্পদকে এ আইনের আওতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আইনে রামসার কনভেনশন অনুযায়ী জলাভূমি ঘোষিত এলাকার পরিবেশ ও প্রতিবেশগত বৈশিষ্ট্যসমূহের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেললে সেটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানের অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে জড়িত থাকলে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, নির্বাহী, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্যকোনো কর্মকর্তা কর্মচারী অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন। এ আইনের অপরাধ বিবেচনায় ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে।

আইনে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উপাদানসমূহের টেকসই ব্যবহার, জীব সম্পদ ও তদসংশ্লিষ্ট জীন ব্যবহার হতে প্রাপ্ত সুফলের সুষ্ঠু ও নায্য হিস্যা বন্টন এবং আনুসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে বিধান করার জন্য রাষ্ট্রের একটি জাতীয় কমিটি থাকবে। কমিটির প্রধান হবে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। এছাড়া ১১টি মন্ত্রণালয় ও ১০টি অধিদপ্তর কমিটির সদস্য হিসেবে গণ্য হবে।  

রাষ্ট্রের সম্পদ সংরক্ষণে মহানগর, জেলা, উপজেলা, সিটি ও পৌর কর্পোরেশন ও ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত কমিটি গঠনের বিধান রয়েছে। এমপিরা জেলা ও উপজেলা কমিটির উপদেষ্টা হবেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি হবেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কমিটির সদস্য মনোনয়নে প্রতিনিধি দিতে পারবেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৭ 
এসকে/পিসি
**‘চার বছরে পুলিশের ৪৫৬১০টি নতুন পদ’

**‘সম্প্রতি ৬৭ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে’

**‘আরএসও’র তৎপরতা বাংলাদেশে নেই’

**‘বাংলাদেশের সঙ্গে ১৫১টি দেশের কূটনেতিক সম্পর্ক’ 

**‘সাংবাদিকের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।