এর আগে বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত থেকে যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের পাশে অবস্থিত বাসাটির চারপাশ ঘিরে ফেলে র্যাব। র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের উপ-পরিচালক মেজর রইসুল আজম বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
ৠাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জঙ্গি অভিযান স্থলে সাংবাদিকদের বলেন, জঙ্গিরা যে হারিয়ে যায়নি সেটা জানান দিতেই তাদের এ অবস্থান। বিস্ফোরক তৈরির যে ধরনের সরঞ্জাম আমরা দেখতে পেয়েছি সেগুলো সাধারণত নাশকতায় ব্যবহার হয়ে থাকে।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি জঙ্গিরা এই পাঁচতলা বিল্ডিং-এর দোতলায় বাসাটি ভাড়া নিয়েছিল। বাড়ির মালিক একজন মহিলা। আমরা মালিককে প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদ করেছি বাসাটি কীভাবে তারা ভাড়া নিল- তিনি বলেছেন, জঙ্গিরা পরিচয় দিয়েছিল তারা নির্মাণ শ্রমিক। গুলশানের একটি জায়গায় বিল্ডিং মেরামতের কাজ করতো। জঙ্গিদের সবার বয়স ২৫ খেকে ৩০ এর মধ্যে।
বাড়ির মালিক জঙ্গিদের জিজ্ঞাসা করেছিল কেন এক তারিখে না নিয়ে এ মাসের মাঝে ২৩ তারিখে তারা বাড়ি ভাড়া চাচ্ছে- এ উত্তরে জঙ্গিরা বলেছে, যেহেতু গুলশানে কাজ শেষ হয়ে গেলে, নতুনভাবে কাজ শুরু করবে, তারা ঠিকা নির্মাণ শ্রমিক, সেক্ষেত্রেই তারা এখানে অবস্থান নিয়েছে এবং বাড়িওয়ালা সরল বিশ্বাসে তাদের বাড়িভাড়া দেয় বলে জানান ৠাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক।
তিনি বলেন, এর মধ্যে বাড়িওয়ালা জঙ্গিদের বলেছিল ডকুমেন্ট দেওয়ার কথা। তখন দিতে পারেনি, বলেছে পরে দেবে, যখন তাদের পরিবার আসবে। বাড়ির মালিককে পরে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান মুফতি মাহমুদ।
এর আগে ধৃত এ জঙ্গিরা আগে কোন নাশকতার সঙ্গে জড়িত ছিল কি-না এমন প্রশ্নে মুফতি মাহমুদ খান বলেন, এখনই এ বিষয়ে কোনো কিছু বলা সম্ভব নয়। তৎক্ষণিক আমাদের কাছে যে তথ্য ছিল- আমরা যেহেতু এ নিয়ে কাজ করছি- তদন্ত হচ্ছে- তদন্তের মধ্যেই কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি এ আশফাক-ই-আজম ওরফে আপেল এখন নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। এর আগে গ্রেফতারকৃত জঙ্গি সারোয়ারের কাছে এ তথ্যগুলো আমরা পেয়েছি। দীর্ঘ দিন ধরে আমরা তাকে খুঁজছিলাম। এ মুহূর্তে আসলে বলা সম্ভব নয় তারা কোথাও কোন নাশকতার সঙ্গে জড়িত ছিল কী-না।
যাত্রাবাড়ীর একটি বাসা জঙ্গি সন্দেহে ঘিরে রেখেছে র্যাব
বাংলাদেশ সময় ০৬৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৭/০৮১৫, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৭/আপডেট:০৯১৯ ঘণ্টা
কেজেড/এমএমকে/জেডএম/আরআই