বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সব সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের আগামী ছয় মাসের মধ্যে নীতিমালার বিধান অনুসারে এ মনিটরিং সেল গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মনজলি মোরসেদ। একইসঙ্গে ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫’র বিধানগুলো বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘গৃহকর্মী শিশুরা ঘরের ভেতরে, আইনের বাইরে’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। ওই প্রতিবেদনটি যুক্ত করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ –এইচআরপিবি’ একটি রিট করে।
ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ১ জুলাই রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানির পর বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, ২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি হওয়া এ নীতির ৬ ধারা অনুসারে কেন্দ্রীয়ভাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে এবং সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি করে মনিটরিং সেল গঠন করতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ওই নীতিমালায় থাকা বিধান অনুসারে পরবর্তী মাসের ৭ তারিখে বেতন দেওয়া, শ্রম আইন ২০০৬ অনুসরণ, গৃহকর্মীর বয়স ১২ বছরের কম হলে হালকা কাজে নিয়োগে তার অভিভাবকের সঙ্গে আলোচনা, দুর্ঘটনা হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, যৌন হয়রানির মামলা হলে সরকার পরিচালনা করবে, গৃহকর্মীর আচরণ খারাপ হলে তাকে বাদ দেওয়াসহ নীতিতে থাকা সংশ্লিষ্ট বিধানগুলোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৭
ইএস/ওএইচ