দশম জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশনে বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগে বিকেল ৪টা ৪৮ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সারাবিশ্বে ৫০ লাখ মানুষ সরাসরি তামাক ব্যবহারে মারা যাচ্ছেন।
সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, প্রতিবছর বিশ্বে ৬০ লাখ লোক তামাকজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। এর মধ্যে ৬ লাখ পরোক্ষ ধূমপানের কারণে মারা যান। আবার সারাবিশ্বে ১০০ কোটি ধূমপায়ীর মধ্যে ৮০ লাখ নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশের মানুষ।
মন্ত্রী বলেন, সরকার জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে ২০০৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণের আন্তর্জাতিক চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ট্যোবাকো কন্ট্রোলে (এফসিটিসি) স্বাক্ষর করে ও ২০০৪ সালে অনুস্বাক্ষর করে। এই চুক্তির বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী সরকার ২০০৫ সালে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫’ এবং ২০০৬ সালে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৬ প্রণয়ন করে।
এছাড়া বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোবাইল কোর্টে সাধারণত পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপান; তামাক কোম্পানিগুলোর বেআইনি প্রচারণা, প্রণোদনা ও বিজ্ঞাপন; আঠারো বছরের নিচে কারো কাছে বা কারো দ্বারা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি প্রভৃতি আইন লঙ্ঘনে জরিমানা করা হয়, ক্ষেত্র বিশেষে কারাদণ্ডের বিধানও রয়েছে। এছাড়া ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ থেকে সবরকম তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেটের উভয় পাশে ৫০ শতাংশ জায়গাজুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাধ্যতামূলকভাবে মুদ্রণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৭
এসএম/আরআর/আইএ