ঢাকা, সোমবার, ২৯ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

শাহজাদপুরে ছাত্রলীগ-মেয়র গ্রুপের সংঘর্ষে সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৭
শাহজাদপুরে ছাত্রলীগ-মেয়র গ্রুপের সংঘর্ষে সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ দৈনিক সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র ও ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে দৈনিক সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল গুলিবিদ্ধসহ ১৩ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) শাহজাদপুর পৌর এলাকার মনিরমপুর এলাকায় মেয়র হালিমুল হক মিরুর বাড়ির সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) আবুল হাসনাত জানান, দুপুর ১টার দিকে পৌর মেয়রের ছোট ভাই পিন্টু শাহজাদপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বিজয়কে মারধর করেন।

পরে মেয়রের বাসা থেকে পুলিশ পিন্টুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এদিকে বিজয়কে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে বিকেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মেয়রের বাসায় হামলা চালান। একপর্যায়ে মেয়রের বাসা থেকে গুলি ছোড়া হলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৩ জন আহত হন। এদের মধ্যে দৈনিক সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুলসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সন্ধ্যায় তিনি আরো জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আহত সাংবাদিক শিমুলকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শাহজাদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুব ওয়াহিদ কাজল জানান, দুপুরে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিজয়কে মেয়রের বাসায় তুলে নিয়ে গিয়ে তার হাত ও পা ভেঙে দেন পিন্টু। এ ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনগণ বিক্ষোভ মিছিল করেন। ওই মিছিলে গুলি করেন মেয়র। গুলি ছোড়ার ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিক শিমুলের মুখের ওপর ককটেল ছোড়া হয়।

এদিকে, শাহজাদপুর পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরু বলেন, দুপুরে তার ভাই পিন্টুর সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা বিজয়ের ধস্তাধস্তি হয়। পরে পুলিশ এসে পিন্টুকে থানায় নিয়ে যায়। তারপরও ছাত্রলীগ নামধারীরা আমার বাসায় হামলা চালান। বাধ্য হয়ে আমার লাইসেন্সকৃত শর্টগান দিয়ে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছি। এতে হামলাকারীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বাসার ভেতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে আমার বাসায় অপেক্ষমাণ নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিলে তারা ককটেল বিস্ফোরণ করে চলে যান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৭
বিএসকে/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।