ঢাকা, সোমবার, ২৯ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

দ্বিতীয় দিন কেবল ঘোরা-ঘুরি গোছ-গাছের

আসাদ জামান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৭
দ্বিতীয় দিন কেবল ঘোরা-ঘুরি গোছ-গাছের মেলার দ্বিতীয় দিনে হাতুড়ি ঠোকার শব্দ। ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল

অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: ঘড়ির কাঁটা বিকেল ৩টার ঘর স্পর্শ করলো তখন। সঙ্গে সঙ্গে খুলে দেওয়া হলো অমর একুশে গ্রন্থমেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশদ্বার। 

প্রাঙ্গণ না উদ্যান? এ নিয়ে খুব বেশি না ভেবে একাডেমি প্রাঙ্গণের প্রবেশদ্বারে নাতিদীর্ঘ মানবসারিতে দাঁড়িয়ে যাওয়া। অতঃপর জনা তিরিশেক মানুষের সারি সর্পিল গতিতে প্রাঙ্গণে ঢুকতে মহাকাল থেকে হারিয়ে গেল মিনিট তিনেক সময়!
 
এবারের বই মেলায় প্রথম প্রবেশ মেলার দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি)।

সঙ্গত কারণে যা কিছু চোখে পড়বে, তার সবই নতুন। এই নতুনের ভিড়ে প্রথমেই যে ‘নতুনে’ চোখে আটকে গেল, তা হলো- চিরাই করা নতুন কাঠের স্তূপ। কয়েকজন কাঠমিস্ত্রী হাতুড়ি-বাটাল-করাত দিয়ে সেগুলো বইয়ের স্টলে ব্যবহারের উপযোগী করে তুলছেন।  
 
ছবি: বাদলমেলার দ্বিতীয় দিন! স্টল সাজানো কাজে হাতুড়ি ঠোকার শব্দ অস্বাভাবিক নয়। এখন তো গোছগাছের-ই সময়। তারপরও হাতের মাথায় কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ড. জামাল আহমেদের কাছে জানতে চাওয়া, ‘মেলার দ্বিতীয় দিনেও কেন ‘হাতুড়ির শব্দ’?
 
‘বাঙালি তো; কথা শোনে না! তবে বেশিরভাগ স্টলের সাজ-সজ্জার কাজ হয়ে গেছে। বাকিগুলোর কাজও দ্রুত শেষ হয়ে যাবে’ - মোটমুটি রক্ষণাত্মক জবাব আয়োজক কমিটির সদস্য সচিবের।

একাডেমির প্রাঙ্গণে থাকা বেশিরভাগ স্টলেই চলছে গোছ-গাছের কাজ। আর মেলার দ্বিতীয় দিনে যারা এসছেন তাদের সময় কাটছে ঘোরঘুরিতে। লিটলম্যাগ কর্নার তো একেবারেই ফাঁকা। মেলার একাডেমি অংশে বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি সংস্থা, মিডিয়া হাউস, সংগঠনের স্টল। আর ছোটদের কয়েকটি প্রকাশনী।  
ছবি: বাদলমূলত, মেলার মূল অংশ চলে গেছে ঐতিহাসিক সোরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানেই রয়েছে দেশের বৃহৎ ও প্রসিদ্ধ প্রকাশনীর স্টল। এবার সেখানে যাওয়ার পালা।
 
সোহরাওয়ার্দী ‍উদ্যানের বৃহৎ পরিসরে আয়োজিত মেলার এ অংশে লোক সমাগম নেহায়েত কম নয়। নানা বয়সী মানুষের সমাগম চোখে পড়ার মতো। এ স্টল ও স্টলে ঘুরছেন সবাই। তবে বই কেনার মতো লোক খুব বেশি দেখা গেল না।  
 
মূলত, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, পরিবার-পরিজন নিয়ে মেলার দ্বিতীয় দিন ঘুরতে এসেছেন তারা। কেনা-কাটার বিষয়টি খুব একটা পাত্তা পাচ্ছে না। আবার কেউ কেউ দুয়েকটি বই কিনছেনও বটে।   
ছবি: বাদলবনানী থেকে মেলায় এসছেন সেজান আহমেদ। সঙ্গে স্ত্রী শায়লা আহমেদ ও ছেলে শায়ান আহমেদ। বকশিবাজারে এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে মেলাতেও ঢু মেরে গেলেন।  
 
বাংলানিউজকে সেজান আহমেদ বলেন, আজ তো আর বই কিনতে আসিনি। তাছাড়া নতুন বই এখন পাওয়াও যাবে না। মেলার সপ্তাহখানেক গেলে বই কিনতে আসবো।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৭
এজেড/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।