বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের নিচ তলায় জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে জোবায়ের। সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বংশাল থানার ভারপ্রাপ্তা কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. কায়কোবাদ কাজী বাংলানিউজকে বলেন, জোবায়েরের বাড়ি বংশালে। তার বাবার নাম আব্দুল গনি। তবে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়া তার আরও দুই সহযোগীকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জোবায়ের নিজেকে আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে। বিষয়টি স্পর্শকাতর, তাই আমরা এটি ক্ষতিয়ে দেখছি।
তবে জোবায়ের সঠিক তথ্য দিচ্ছে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে ওসি কায়কোবাদ আরও বলেন, জঙ্গি দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা সব সময় ছন্মনাম ব্যবহার করে। যোগাযোগের জন্য তারা মোবাইল বা কোনো ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পরিবর্তে সাধারণত নামাজের সময় সাক্ষাত করে।
জোবায়েরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে আদালতের কাছে তার রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে এসিডে দগ্ধ এস আই নুরুজ্জামান স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের (মিডফোর্ড) হাসপাতাল ও কনস্টেবল মো. রফিকুল আলম ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের শারীররিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
গত ৩১ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) রাত ১২টার দিকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে সন্দেহজনক একটি মোটরসাইকেলকে থামার ইশারা করেন তারা। এ সময় গতি থামিয়ে চার আরোহীর একজন পুলিশকে এসিড নিক্ষেপ করে। এতে ওই দুই সদস্য দগ্ধ হয়। পরে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালালে জোবায়ের বাম পায়ে গুলি বিদ্ধ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩ ২০১৭
আরএটি/জেপি/জিপি