বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এসএসসির বাংলা প্রথমপত্রের সৃজনশীল অংশে ২ নম্বর প্রশ্নে একটি অনুচ্ছেদ দিয়ে শিক্ষার আসল কাজ, শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব নিয়ে চারটি প্রশ্ন করা হয়। ওই প্রশ্নের উত্তরে ১০ নম্বর রাখা হয়েছিল।
প্রশ্নে বলা হয়, ‘জাহেদ সাহেব একজন লোভী ডাক্তার। অভাব ও দারিদ্র বিমোচন করতে গিয়ে তিনি সব সময় অর্থের পেছনে ছুটতেন। এক সময় গাড়ি-বাড়ি, ধন-সম্পদ সব কিছুর মালিক হন। তবুও তার চাওয়া পাওয়ার শেষ নেই। অর্থ উপার্জনই তার একমাত্র নেশা। অন্যদিকে তাঁর বন্ধু সগীর সাহেব তাঁর ধন-সম্পদ থেকে বিভিন্ন সামাজিক জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করেন। তিনি মনে করেন, সুন্দরভাবে জীবনযাপনের জন্য বেশি সম্পদের প্রয়োজন নেই। ’
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সনাল ও মহাসচিব ডা. এমএ আজিজ এক যুক্ত বিবৃতিতে এসএসসির প্রশ্নপত্রে মহান চিকিৎসা পেশা নিয়ে এমন বিভ্রান্তিকর প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্য সেবাকে জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে আপামর চিকিৎসক সমাজ অর্হনিশি পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এমন সময় দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে এরূপ মিথ্যা, বানোয়াট, কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পরিবেশন জাতির জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায়।
এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে যারা চিকিৎসা পেশার মতো মহান ও সেবামূলক পেশাকে কলঙ্কিত করতে চাচ্ছেন তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
ফেসবুকে তৌহিদুর রহমান তৌহিদ নামে একজন চিকিৎসক লিখেন, ডাক্তার সমাজকে আহত করেছে বলেই বলছি না, সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়ন করা কিংবা সেটাকে মডারেশন করার মত অবস্থায় মনে হয় আমরা এখনো যেতে পারিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৬
এমআইএইচ/জেডএম