ঢাকা, সোমবার, ২৯ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে রাজশাহী

শরীফ সুমন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৭
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে রাজশাহী রাজশাহীতে ঘন কুয়াশা, ছবি: সৌরভ হোসেন

রাজশাহী: মাঘের শেষের দিকে পদ্মাপাড়ের রাজশাহীতে আবারও বেড়েছে শীতের দাপট। কাঁচের মত স্বচ্ছ শিশির বিন্দুগুলো ভর করেছে সবুজ প্রকৃতিতে। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে উত্তর জনপদের এই শহর।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহীতে সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ৪৭ মিনিটে। তবে সকাল সোয়া ৮টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি।

বর্তমানে দৃষ্টিসীমা ২শ’ মিটারের নিচে নেমে এসেছে।

ভোর থেকে প্রধান সড়কগুলোতে হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। বেলা যতই বাড়ছে কুয়াশাও যেন আড়মোড়া দিয়ে প্রকৃতির সব কিছুকে কোলের মধ্যে টেনে নিচ্ছে। তার ওপর বেড়েছে শীতের তীব্রতা।

দুপুর পর্যন্ত সূর্যের তাপ না থাকায় হাড় কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়ছেন শহরের পথে-ঘাটে থাকা ছিন্নমূল মানুষ। এবার সময়ের আগেই যেন শক্তি হারিয়েছিল শীত। কিন্তু তাপমাত্রা কমায় আবারও বাড়ছে শীতের দাপট।

ঘন কুয়াশার মধ্যে গন্তব্যে ছুটে চলা, ছবি: সৌরভ হোসেনরাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরআগে বৃহস্পতিবার ছিল ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে তাপমাত্রা কমেছে ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।

এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, মাঘের শেষে এমন কুয়াশা পড়া অনেকটা স্বাভাবিক। সাধারণত এই কুয়াশা শীতের বিদায় বারতারই জানান দিচ্ছে। প্রকৃতিতে কুয়াশার ঘোর কাটলেই ১০/১২ দিনের মধ্যে রোদের তীব্রতা দ্বিগুণ হবে।

এদিকে, এমন ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকলে কৃষিতে ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। এই সময়টায় এসে কুয়াশার কারণে বরাবরই বোরো বীজতলা ও রবি ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে বোরোতে কোল্ড ইনজুরি ও আলুতে লেটব্লাইট (পচন) দেখা দেয়। তবে পরস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

কুয়াশায় ঢাকা রাজশাহীর প্রকৃতি, ছবি: সৌরভ হোসেনরাজাশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক দেব দুলাল ঢালী বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর শুরু থেকেই শীতের প্রকোপ কম। তবে শেষ সময়ে এমন আবহাওয়া রবি শস্যের জন্য কাল হয়ে উঠতে পারে। তাই কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সতর্ক রয়েছেন।

বর্তমানে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পরিদর্শন করছেন। ফসলকে নিরাপদ রাখতে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

এছাড়া কৃষকরাও আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়ে উঠেছেন। মোবাইল অ্যাপস ও হট লাইনের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টাই কৃষি তথ্য সেবা নিচ্ছেন। সেই মতে ফসলের পরিচর্যাও করছেন বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৭
এসএস/টিআই

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।