‘তিনি কঠিন কথাগুলো হাস্যরসের মাধ্যমে সহজ করে বলতে পারতেন। তার সময়ে বিরোধী দল বলতে গেলে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একাই একশো ছিলেন।
রোববার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে দশম জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশনে সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের উপর আনিত শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জন্মিলে মরিতে হবে একথা আমাদের সবারই জানা। তবে মানুষ চলে যায়, তার কৃতী থেকে যায়, কথা থেকে যায়। ২০১৪ সালে একটা বৈরী পরিবেশে নির্বাচন করে আমরা এই পার্লামেন্টে এসেছি। যখন একে একে কোনো সদস্যকে হারাই, সত্যি কষ্টদায়ক।
সুরঞ্জিত প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ সকালে যখন জানতে পারলাম সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আর নেই। তখন কষ্ট হচ্ছিল। আগের রাতেই কথা হচ্ছিল তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বাইরে নেওয়ার জন্য, সেই সুযোগ আর দিলেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুরঞ্জিতের সঙ্গে অনেক আন্দোলন করেছি, সংগ্রাম করেছি। তার সবচেয়ে বড় গুণ ছিলো, তিনি যেকোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারতেন, রেফারেন্স দিতে পারতেন। তার অনেক হাস্যরসিকতা ছিলো। সংসদের বাইরে মাঠের বক্তৃতায় সাধারণ মানুষকে আকর্ষণ করার একটা চমৎকার ক্ষমতা তার ছিলো।
তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদে যারা নির্বাচিত ছিলেন, জাতীয় পরিষদে যারা নির্বাচিত ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধের পর তাদের নিয়ে গণপরিষদ সৃষ্টি করা হয়। সেই গণপরিষদ নিয়ে আমাদের সংবিধান রচনা করা হয়। সংবিধান রচনা করার কাজ শুরু করে। সংবিধান রচনার কাজ অনেক আলাপ-আলোচনা, অনেক কিছুই সেখানে হয়েছে। অনেক তর্ক বির্তক হয়েছে, অনেক কিছুই হয়েছে। তখন বলতে গেলে বিরোধী দলের ভূমিকায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একাই একশো ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৭
এসএম/আরআইএস/এসএনএস