একদমে কথাগুলো বলে ফেললেন পঞ্চাশোর্ধ্ব হাফিজুল ইসলাম। তিনি নন্দীপাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা।
ঘড়ির কাঁটায় দুপুর আড়াইটা। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়া বাজার থেকে ত্রিমোহনী পর্যন্ত চলছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযান। উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে চোখে পড়ে স্থানীয়দের আনন্দ-উচ্ছ্বাস। দেখে মনে হচ্ছিল এ যেন ঈদের আমেজ।
হাফিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ছোটবেলায় এই খালে মাছ ধরছি (ধরেছি), সাঁতার কাটছি (কেটেছি)। ছোটবেলার কথা মনে হলে খুব কষ্ট পাই। খাল দখলমুক্ত হচ্ছে দেখে আমরা অনেক খুশি। এলাকা পরিষ্কার পরিছন্ন হবে। এছাড়া রাস্তাও বড় হবে। চলাচলের সুবিধা হবে। পুরা এলাকার চেহারাটাই পাল্টায়া যাবে।
তিনি বলেন, খাল দখল করে এলাকার প্রভাবশালীরা অনেক টাকা ইনকাম করছে (করেছে)। হাজার হাজার টাকা ভাড়া ওঠাইছে।
খালের দখলমুক্তির এই অভিযানে হাফিজের মত স্থানীয় বাসিন্দা খোরশেদ, আলম, শহিদুল ও মতিনরাও যারপরনাই খুশি। বাংলানিউজকে তারা সেটাই জানালেন সমস্বরে। এজন্য তারা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও এর মেয়রকে ধন্যবাদ জানান।
গত ২২ জানুয়ারি (রোববার) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাইদ খোকন রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল, বক্স কালভার্ট ও রাস্তা যে কোনো মূল্যে অবৈধ দখলমুক্ত করা হবে বলে ঘোষণা দেন।
মেয়রের ঘোষণা অনুযায়ী ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার নন্দীপাড়া ত্রিমোহিনী খালটি দখলমুক্ত করার জন্য অভিযান চালানো হয়। এছাড়া আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ এলাকায় অভিযান চালানোর কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৭
আরএটি/জেএম