মেহেরপুর নির্বাহী প্রকৌশলী আজিম উদ্দীন সর্দারের উপস্থিতিতে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে ভবনটি ভাঙা শুরু হয়। এসময় গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুল হকসহ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, চলতি বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে তামান্না এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৬৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ে নওয়াপাড়া নবীনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ কাজ শুরু করে। স্থানীয় জনগণ, অভিভাবক, স্কুল পরিচালনা কমিটি ও প্রকৌশলীর অভিযোগ, রড ও সিমেন্টের ব্যবহার ছাড়াই চরম দুর্নীতির মাধ্যমে বিদ্যালয়টির নির্মাণ কাজ চলে আসছিল।
স্থানীয়রা বিদ্যালয়ের সিঁড়ি ঢালাইয়ের সময় দরপত্র অনুযায়ী রড ও সিমেন্ট ব্যবহারের অনুরোধ করেছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার রড ও সিমেন্ট ছাড়াই গোপনে সিঁড়ি ঢালাইয়ের কাজ শেষ করে।
এর ১৫ দিনের মাথায় ৭ জানুয়ারি দুপুরে ধসে পড়ে স্কুলটির নির্মাণাধীন সিঁড়ি। এনিয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে স্থানীয় জনগণ ও অভিভাবকরা। তাদের আন্দোলনের মুখে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ নির্মাণাধীন ভবনের রড, সিমেন্টসহ বিভিন্ন উপকরণ পরীক্ষার জন্য বুয়েটে পাঠায়। রোববার বুয়েট থেকে ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি এলে সোমবার দুপুরে এলজিইডি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ভবন ভাঙা শুরু হয়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তামান্না ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের নামে বিদ্যালয়টির নির্মাণ কাজ করছেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুন্নাহার সেলি বাংলানিউজকে জানান, ভবনটি যখন ধসে পড়ে তখন আতঙ্কে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। আবার নতুন করে ভবন নির্মাণ হওয়ায় তারা স্কুলে ফিরে আসবে বলে আশা করছি।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সুমন আলী বাংলানিউজকে জানান, ঠিকাদার ও সহকারী প্রকৌশলী সামসুল হকের দুর্নীতির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।
মেহেরপুর এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আজিমুদ্দিন সরদার বাংলানিউজকে জানান, বুয়েটে ওই ভবনের কাজে ব্যবহার করা সামগ্রী পরীক্ষা শেষে ভবনটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিজ অর্থায়নে এ মাসের মধ্যে আবার নতুন করে ভবনটি নির্মাণ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৭
এসআই