দুই বছরের বেশি বয়সী প্রতিবন্ধী শিশুর সামাজিক ও পারিবারিক গ্রহণযোগ্যতা, শিক্ষা, কর্মক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের অংশগ্রহণে, স্বাস্থ্যখাতে সম্পৃক্ততা ও তাদের বিভিন্ন ধরণের প্রবণতা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে এই জরিপে।
বিবিএস সূত্র থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ তথা বিশ্বে অটিজম একটি বড় সমস্যা।
‘সার্ভে অন পার্সন উইথ ডিসঅ্যাবিলিটি ২০১৭‘ প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চলতি বছরের জন্য এ খাতে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। জরিপের প্রকল্পটি সারা বছর চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিবিএস। যেন তারা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবন্ধীদের তথ্য সরবরাহ করতে পারে।
এই প্রসঙ্গে বিবিএস সচিব কে এম মোজাম্মেল হক বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবন্ধীদের কতজন সেই সংখ্যা আমাদের হাতে নেই। এটা থাকা জরুরি। কারণ বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতিবন্ধীদের জরিপ একটা জটিল বিষয়। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমরা একটি সার্ভে করছি। সেখান থেকে কিছু আইডিয়া গ্রহণ করবো। প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন ধরণের ভাগ আছে যেমন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, শারীরিক প্রতিবন্ধী, বাক প্রতিবন্ধী ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। সমস্ত বিষয় সন্নিবেশ করেই আমরা দেশব্যাপী প্রতিবন্ধীদের একটা সঠিক ডাটা বের করবো। তবে প্রতিবন্ধী জরিপ থেমে থাকবে না জনসংখ্যা জরিপের মতোই চলমান থাকবে।
বিবিএস সূত্র জানায়, প্রতিবন্ধীদের দৈনন্দিন জীবন স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও চাকরির সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণে সারা দেশে জরিপ করা জরুরি। বাংলাদেশে হাজার হাজার মা অপুষ্টিতে ভোগেন। এর ফলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এর একটি নেতিবাচক প্রভাব থেকে যায়। অপুষ্টিতে আক্রান্ত মা প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম দিয়ে থাকেন। প্রতিবন্ধী জরিপের আওতায় অপুষ্টিতে আক্রান্ত মায়েরও তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
বিবিএস সূত্র জানায়, প্রতিবন্ধীদের সামাজিক ও পারিবারিক গ্রহণযোগ্যতা যাচাইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের প্রবণতাও নির্ধারণ করা হবে। শারীরিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে অটিজমের মূল কারণ এবং বর্তমান অবস্থা নিরুপণ করাও প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৭
এমআইএস/আরআই