শাহ আলম পাশের জেলা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার চর উথুলিয়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে। তিনি ভাড়ারা ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের বালু ঘাটের শ্রমিক।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পাবনা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল বাংলানিউজকে জানান, নদীর ঘাট থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে নদীর মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এসময় নৌকায় শাহ আলমসহ দুইজন ছিলেন। তাদের একজন ড্রেজার ম্যান, অপরজন নৌকার মাঝি। নৌকা বালু নিয়ে ফেরার সময় আরেক নৌকার সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ড্রেজার চালক শাহ আলম নৌকা থেকে নদীতে পরে নিখোঁজ হন। স্থানীয়রা তাকে খোঁজার চেষ্টা করছে।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন বাংলানিউজকে জানায়, পদ্মা নদীতে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ খানের লোকজন বালু উত্তোলন করে আসছে। শ্রমিকের সঙ্গে মালিক পক্ষের মজুরি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শাহ আলমকে নৌকার বৈঠা দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাঝ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খান। তিনি বাংলানিউজকে জানান, কেউ কেউ বলছে শাহ আলমের মৃত্যু হয়েছে। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৭
এজি /এসআই