সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়া বাজার থেকে ত্রিমোহনী পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযান চলে। এ সময় অনেকেই ভুয়া দলিল হাতে হাজির হন অভিযানপরিচালনাকারী দলের সামনে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়া বাজার থেকে ত্রিমোহনী পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন র্যাব, পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেড, সিটি করপোরেশন, ওয়াসা ও ঢাকা জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদ অভিযানে উৎসুক জনতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। অভিযানে দখলবাজদের অনেকেই ভুয়া দলিল, দাগ নম্বর ও খতিয়ান নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত দেখা গেছে।
নন্দীপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা শওকত আলী ও লিয়াকত আলী। তারা দুই ভাই। নন্দীপাড়া ব্রিজের পাশেই ছিল তাদের ১২টি দোকান। প্রতিটি দোকান থেকে তারা প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা ভাড়া তুলতেন। এভাবে প্রায় ৪০ বছর ধরে দখল করা এই খালে চলছিল তাদের ব্যবসা।
তবে, তারা ভুয়া দলিল নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে এসেছেন বলে জানালেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা জামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এই জমি শওকত আলী ও লিয়াকত আলীর নয়। জোর করে দখল নিয়ে চল্লিশ বছর ধরে ভাড়া খাটাচ্ছে। প্রতিটি দোকান থেকে তারা প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা ভাড়া তুলতেন।
তিনি আরও জানান, শওকত ও লিয়াকত ভুয়া কাগজ বানিয়েছে। তাদের মতো আরও অনেক দখলবাজ এভাবেই ব্যবসা করে আসছে।
এদিকে, খাল দখলমুক্ত হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা অনেক খুশি। স্থানীয় বাসিন্দা মনির, মোয়াজ্জেম ও আলীম বাংলানিউজকে বলেন, খাল দখল মুক্ত করায় ভালো হয়েছে। এখন রাস্তায় চলাচলে সুবিধা হবে। এছাড়া পরিবেশও ভালো হবে।
উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেওয়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, খাল দখল করে তারা দোকান করেছে। ভুয়া দলিলও বানিয়েছে। তাই উচ্ছেদ কারা হচ্ছে।
গত ২২ জানুয়ারি (রোববার) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাইদ খোকন রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল, বক্সকালভার্ট ও রাস্তা অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য ঘোষণা দেন।
মেয়রের ঘোষণা অনুযায়ী ৬ ফেব্রুয়ারি নন্দীপাড়া ত্রিমোহিনী খালে দখলমুক্ত করার জন্য অভিযান চালানো হয়। এছাড়া আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ এলাকায় অভিযান চালানোর কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৭
আরএটি/পিসি