মঙ্গলবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তার মরদেহ রাজশাহী নেওয়া হয়।
রাজশাহীর শাহ মখদুম (রহ.) বিমান বন্দরে জাহানারা জামানের মরদেহবাহী হেলিকপ্টার অবতরণ করলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সেখানে জড়ো হন।
বিমান বন্দর থেকে তার মরদেহ ছেলে রাজশাহীর সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের উপশহরের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সেখান থেকে কিছুক্ষণের জন্য জাহানারার মরদেহ তার স্বামী শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামানের কাদিরগঞ্জের পৈত্রিক বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে বাদ যোহর তার মরদেহ রাজশাহীর শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে নিয়ে যাওয়া হবে। এখানে জানাজা শেষে মহানগরীর কাদিরগঞ্জের পারিবারিক কবরস্থানে শহীদ কামরুজ্জামানের পাশে দাফন করা হবে।
রাজশাহীর সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামানের ব্যক্তিগত সহকারী মীর ইশতিয়াক হোসেন লিমন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বর্তমানে খায়রুজ্জামান লিটনসহ তার অন্য সন্তানরা জাহানারা জামানের মরদেহের সঙ্গে রয়েছেন। রাজশাহী আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী জাহানারা জামানের মরদেহে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
এর আগে রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের নিজ বাড়িতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
জাহানারা জামান দীর্ঘ দিন থেকে ডায়াবেটিকসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৭
এসএস/জিপি/বিএস
** জেলহত্যার বিচার দেখে যেতে পারলেন না জাহানারা জামান
** শহীদ কামরুজ্জামানের স্ত্রী আর নেই